হোম > ছাপা সংস্করণ

বিদেশে খালেদার চিকিৎসা: আইনের ব্যাখ্যায় দ্বিমত আইন বিশেষজ্ঞদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শর্তাধীন নির্বাহী আদেশে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশে চিকিৎসার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া আছে, তাঁর বিদেশে চিকিৎসার ক্ষেত্রে তা পরিবর্তনের সুযোগ নেই বলে মনে করে সরকার। তবে সরকারের এই অবস্থানের সঙ্গে আইন বিশেষজ্ঞদের অনেকের দ্বিমত আছে। আবার এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে একেক সময় একেক কথা বলা হচ্ছে বলে মনে করেন তাঁরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফৌজদারি কার্যবিধির যে ৪০১ ধারা অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে দেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া আছে, একই ধারার অধীনেই প্রয়োজনে আরও শর্ত যুক্ত করে তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া সম্ভব।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদেরা আইনের যে ব্যাখ্যা দেন, আইনজীবীদের ব্যাখ্যার সঙ্গে তা সব সময় মেলে না। এত দিন খালেদা জিয়ার বিষয়ে সরকার যেভাবে আদেশ দিয়েছেন, সর্বশেষ ব্যাখ্যাটা তার সঙ্গে মেলে না। এত দিন এক কথা বলেছেন, এখন আরেক কথা বলছেন। শর্ত পরিবর্তন করতে হলে তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে হবে, কারাগারে যেতে হবে, আদালতের মাধ্যমে আসতে হবে, এটি ৪০১ ধারার কোথাও লেখা নেই।’

শাহদীন মালিক মনে করেন, সরকার যেহেতু ছয় মাসের শর্ত বারবার পরিবর্তন করেছে, একইভাবে এই শর্ত পরিবর্তন করতে কোনো বাধা নেই। আর সরকারের কোনো আশঙ্কা থাকলে, লিখে দিতে পারে চিকিৎসা শেষে ১৫ দিনের মধ্যে দেশে আসতে হবে, অথবা বিদেশে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না। দুটি শর্তের জায়গায় পাঁচটি শর্ত দিতেও কোনো বাধা নেই বলে জানান এই আইনজীবী।

তবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় গত রোববার যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। সচিবালয়ে গতকাল সোমবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে। তাই প্রস্তাবটি মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে যে মত এসেছে, তা তাদের (খালেদা জিয়ার) পক্ষে আসেনি। এখন এ বিষয়ে আর কিছু করণীয় নেই।

খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে, বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, অপরাধ ও সাজা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয় নয়।

খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দারের করা আবেদনের বিষয়ে রোববার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় কোনো দরখাস্ত যদি একবার নিষ্পত্তি করা হয়, তা পুনর্বিবেচনা করার অবকাশ আইনে থাকে না। ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে যে দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে, সেটি অতীত ও শেষ হয়ে গেছে। এটি আর খোলার কোনো উপায় নেই। এখন যে আদেশ আছে, সেটি যদি বাতিল করা হয়, বাতিল করে তাঁকে যদি আবার কারাগারে নেওয়া হয়, তাহলে আদালতে যেতে পারেন।

এ বিষয়ে প্রবীণ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৪০১ ধারায় একবার সিদ্ধান্ত নিলে তা আর পরিবর্তন করা যাবে না, এমন কোনো বিধান নেই। এখনো সরকার চাইলে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি দিতে পারে। সেই ক্ষেত্রে শর্ত পরিবর্তন করে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিতে পারে। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে আসার শর্তও দেওয়া যায়। প্রয়োজনে আরও শর্ত যুক্ত করা যেতে পারে।সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, সাজাপ্রাপ্ত অনেককে এর আগে সরকার বিদেশে যেতে দিয়েছে।

তবে নির্বাহী আদেশের বাইরে আইনি প্রক্রিয়ায় বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, খালেদা জিয়া বিদেশে যেতে চাইলে ৪০১ ধারার সুবিধা প্রত্যাহার করার পর কারাগারে যেতে হবে। যেহেতু তাঁর আপিল বিচারাধীন, তাই তিনি আপিল বিভাগে জামিন চাইতে পারেন। বিদেশে যেতে আবেদন করারও সুযোগ আছে সেখানে।

আর আপিল না চালিয়ে দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ারও সুযোগ আছে উল্লেখ করে মেহেদী হাছান বলেন, রাষ্ট্রপতি মনে করলে তা মঞ্জুর করতে পারেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ