ভারতের দুই আঞ্চলিক দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল এবং অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টিকে (সপা) নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। বিরোধী ঐক্যেও বড় বাধা এই দুই দল। সামনেই দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশের (ইউপি) বিধানসভা ভোট। সেখানকার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং সপা নেতা অখিলেশ জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের কোনো সম্ভাবনা নেই। তাঁর দাবি, শতাব্দী প্রাচীন দলটি একটি আসনও পাবে না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলকে রাজ্যে স্বাগত জানিয়েছেন অখিলেশ।
যদিও ভারতের অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলোর কংগ্রেসের প্রতি আস্থা অটুট। মহারাষ্ট্রের শিবসেনার মুখপত্রে লেখা হয়েছে, বিজেপিকে হারাতে হলে কংগ্রেসকে অন্তত ১০০ আসন পেতে হবে। আর কংগ্রেস ছাড়া বিরোধী কোনো দলেরই যে এত আসন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই সেটিও স্পষ্ট করে দিয়েছে পত্রিকাটি।
২০১৭ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেই ইউপি নির্বাচনে লড়ে পরাজয় স্বীকার করতে হয় সপাকে। তারপর থেকেই ইউপি নিয়ে উভয় দলের সম্পর্ক খারাপ।
কংগ্রেস অবশ্য সপা ও তৃণমূলকে বাদ দিয়ে বাকি ১৫টি আঞ্চলিক দলকে নিয়ে জাতীয় স্তরে ঐক্য ধরে রাখতে এখনো সক্ষম। এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ারের সঙ্গে মমতা বৈঠক করলেও তিনিও রয়েছেন কংগ্রেসের সঙ্গেই। শারদও মনে করেন, ভারতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেসই বড় শক্তি। গোটা দেশে কংগ্রেসেরই একমাত্র উপস্থিতি রয়েছে।
তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেবের মতে, কংগ্রেস অবশ্যই বড় দল। কিন্তু বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেসকে সেভাবে সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে না। তৃণমূল তাই বিজেপিকে হঠাতে সবাইকে একত্রিত করার চেষ্টা করছে।
কিন্তু কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর অভিযোগ, বিজেপিকে খুশি করতেই কংগ্রেসকে দুর্বল করার চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। মেকি ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মদদ জোগানোরও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।