মাত্র দুজন শিক্ষক দিয়ে চলছে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের বাকুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিক্ষকসংকটে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম।
গত শনিবার বাকুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অফিস কক্ষে দাপ্তরিক কাজ করছেন। সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ছয় দিনের প্রশিক্ষণে গেছেন। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছে। বিদ্যালয়ে পাঁচজন শিক্ষকের পদ থাকলেও কাগজে-কলমে তিনজন শিক্ষক রয়েছেন। এর মধ্যে নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন মাত্র দুজন। তাঁদের মধ্যে একজন আবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহিনা পারভীন বলেন, ‘বিদ্যালয়ে পাঁচটি শিক্ষকের পদ আছে। এর মধ্যে কাগজে-কলমে আছেন তিনজন। একজন পিটিআই প্রশিক্ষণে থাকায় বর্তমানে দুজন শিক্ষক দিয়ে চলছে স্কুল। আমাকে অধিকাংশ সময় অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। তখন মাত্র একজন শিক্ষক দিয়ে স্কুল চলে। শিক্ষকসংকটে আমাদের নাকাল অবস্থা। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় স্কুলের ক্লাস চালাতে হচ্ছে।’ শাহিনা পারভীন আরও বলেন, ‘সহকারী শিক্ষক আমিনুল দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তাঁকে প্রায়ই ভারতে চিকিৎসার জন্য যেতে হয়। সামনে আবার তাঁকে যেতে হবে। অন্য বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ হলেও পাঁচজন শিক্ষক রয়েছেন। আমাদের বিদ্যালয়ে ২১০ জন শিক্ষার্থী অথচ শিক্ষক মাত্র দুজন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চাইলে অন্য বিদ্যালয় থেকে শিক্ষক আমাদের দিতে পারেন।’
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম রব্বানী বলেন, ‘শিক্ষকসংকটে ওই বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসে গিয়ে কথা বলেছি। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বিদ্যালয়ের শিক্ষকসংকট দূর হতে সময় লাগবে।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুরল আমিন বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। অন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক ওই বিদ্যালয়ে সংযুক্তির জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আবেদন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই আবেদনের অনুমোদনও হয়েছে। খুব শিগগিরই শিক্ষক সংযুক্তি প্রদান করা হবে।’