কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে আবার ভোট গণনা ও গেজেট প্রকাশ স্থগিতের আবেদন করেছেন আওয়ামী লীগের পরাজিত চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্য প্রার্থী। এ জন্য তাঁরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেছেন। কমিশনে প্রতিকার না পেলে ট্রাইব্যুনালে মামলা করবেন বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারীরা।
জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে ফুলবাড়ী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে গত ২৮ নভেম্বর ভোটগ্রহণ হয়। এর মধ্যে কাশিপুর ইউপির পরাজিত আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেয়াজুল ইসলাম সব কেন্দ্রের ভোট পুনর্গণনার আবেদন করেছেন। এ ছাড়া শিমুলবাড়ী ইউপির পরাজিত ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থী মোছা. মর্জিনা আক্তার পারভীন ও ফুলবাড়ী সদর ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য প্রার্থী মিজানুর রহমান সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেছেন।
সংরক্ষিত নারী পদে পরাজিত প্রার্থী মোছা. মর্জিনা আক্তার পারভীন বলেন, ‘আমার প্রতীক ছিল বক। ১ নম্বর ওয়ার্ড তালুক শিমুলবাড়ী ওই কেন্দ্রে আমার প্রতীকে ৬৩১ ভোট পড়েছে। আর আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর হেলিকপ্টার প্রতীক পেয়েছে ৪৩৭ ভোট। কিন্তু প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ফলাফল পাল্টে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে প্রাপ্ত ভোটের বিপরীত তথ্য জমা দেন। যেখানে বক প্রতীক ৪৩৭ আর হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রাপ্ত ভোট ৬৩১ দেখানো হয়।’ এই অভিযোগ করে তিনি পুনর্গণনার দাবি করেছেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মমিনুল আলম বলেন, ‘পৃথক তিনটি অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু পুনরায় নির্বাচন কিংবা ভোট গণনার ক্ষমতা আমাদের হাতে নেই। তবে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পরাজিত প্রার্থীরা মামলা করতে পারেন। আদালত যে আদেশ দেবেন পরবর্তীকালে সেই মোতাবেক কাজ করা হবে।’