হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় নির্মাণের প্রায় আট বছর পর আলোর মুখ দেখতে চলেছে জেলার একমাত্র ট্রমা সেন্টার। যদিও নির্মাণের পর দীর্ঘদিন ধরে ট্রমা সেন্টার চালু না হওয়ায় অবকাঠামোর অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে গেছে। ভেঙে পড়েছে দরজা-জানালার গ্লাস। বাকি রয়েছে পানির পাম্প বসানোর কাজও।
তবে হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ বলছে, টুকটাক কাজ যেগুলো বাকি ছিল তার বেশির ভাগ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। যতটুকু কাজ রয়ে গেছে তা দ্রুত সম্পন্ন করে ট্রমা সেন্টারটি হবিগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জানা গেছে, মহাসড়কে দুর্ঘটনায় আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০১০ সালে ফিজিক্যাল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় ট্রমা সেন্টার নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে ১০ শয্যার ট্রমা সেন্টারের নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৩ সালে। এতে ব্যয় হয় ৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভবনটি গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে চিঠি দেয় গণপূর্ত বিভাগ। কিন্তু গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ না থাকায় সেটি গ্রহণ করতে রাজি হয়নি স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে দুই বিভাগের বেশ কয়েকবার চিঠি চালাচালিতেই কেটে গেছে আট বছর।
এ ব্যাপারে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বাবুল কুমার দাস জানান, ‘ট্রমা সেন্টারের কিছু কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে। কাজটি সম্পন্ন হলে গণপূর্ত বিভাগ আমাদের হস্তান্তর করলে আমরা পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করব।’
হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নূরুল হক জানান, তৎকালীন সময়ে অনেক কাজ বাকি রেখেই সেটি হবিগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাজ বাকি থাকায় তা গ্রহণ করেনি স্বাস্থ্য বিভাগ।
হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন জানান, সব কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। আগামী সপ্তাহেই ট্রমা সেন্টারটি হবিগঞ্জ সিভিল সার্জনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।