১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। কিন্তু তখনো পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী ছিলেন স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের চার দিন পরেই দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টা ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেওয়া হবে। তবে সেটা কখন তা জানানো হয়নি।
কারাগারে ২৯০ দিন বন্দী থাকার পর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি ভোর-রাতে মুক্তি পান বঙ্গবন্ধু। সে দিনই তিনি পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনের (পিআইএ) বিশেষ ফ্লাইট ৬৩৫-এ লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন ড. কামাল হোসেন। তাঁদের বলা হয়, যাত্রা সম্পর্কে এখনই কিছু জানানো হবে না। লন্ডন থেকে ঘণ্টা খানেকের দূরত্বে থাকার সময় উড়োজাহাজে ঘোষণা দেওয়া হবে। যখন তাঁরা লন্ডনের কাছাকাছি পৌঁছাবেন, তখন ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষকে একটি বার্তা পাঠানো হবে, যাতে থাকবে বঙ্গবন্ধু সকাল ৭টার দিকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।
ওই দিনই নিরাপদে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান বঙ্গবন্ধু। বিমানবন্দরে ব্রিটিশ ও কমনওয়েলথের কর্মকর্তারা তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উড্রো উইলসনের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘরোয়া বৈঠক করেন। সেই দিন লন্ডনের হোটেল ক্যারিজ এ জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।