বন্দরের ধামগড় ইউনিয়নে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এবং আচরণবিধি মেনে নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য জেলা প্রশাসক, নির্বাচন কমিশনার ও র্যাব-১১-সহ একাধিক দপ্তরে আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল হোসেন। গতকাল সোমবার দিনব্যাপী প্রতিটি দপ্তরে গিয়ে আবেদনপত্র দাখিল করেন তিনি।
আবেদনে কামাল হোসেন উল্লেখ করেছেন, ‘ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি টেলিফোন প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছি। ১১ নভেম্বর নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিপক্ষ প্রার্থী ধামগড়জুড়ে ৮০টির মতো ক্যাম্প স্থাপন করেছেন। কিন্তু আমার টেলিফোন প্রতীকের একটি ক্যাম্পও স্থাপন করতে দেওয়া হচ্ছে না। কোনো প্রকার প্রচার-প্রচারণা করতে পারছি না।’
‘প্রতিপক্ষ প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুমের নিজস্ব ও ভাড়াটে কর্মীরা সশস্ত্র অবস্থায় গাড়ি ও মোটরসাইকেল দিয়ে অনবরত মহড়া দিচ্ছে। আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। নির্বাচনী সুবিধা নিতে নিজেরাই নিজেদের পোস্টার, ব্যানার ছিঁড়ে আমার কর্মীদের ওপর মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমি এবং আমার কর্মীরা যেকোনো সময় হামলার শিকার ও প্রাণনাশের আশঙ্কায় রয়েছি।’
নৌকার প্রার্থী মাসুম আহম্মেদ বলেন, ‘প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই পারে। এটা আমি স্বাভাবিকভাবে নেই। অভিযোগের মাধ্যমেই তাঁর নির্বাচনী প্রচারণা সীমাবদ্ধ। তিনি কোথাও নির্বাচনী ক্যাম্প করতে পারেনি। নৌকার বিপরীতে এমন কোনো মার্কা তাঁর নেই। তাই কোনো জনপ্রিয়তা নেই।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল কাদির বলেন, ‘ধামগড়ের স্বতন্ত্র প্রার্থী নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন। আমরা তাঁর আবেদন ক্ষতিয়ে দেখছি।’