এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফেবারিট হিসেবে এসে ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের গায়েও ছিল ফেবারিটের তকমা। টুর্নামেন্টের শুরুর ধাক্কা সামলে তারাও এখন ফাইনালের মঞ্চে। দু্ই দল র্যাঙ্কিংয়েও খুব কাছাকাছি। শিরোপাও জিতেছে একবার করে। শিরোপা সংখ্যাটা দুইয়ের ঘরে নিতে আজ লড়াইয়ে নামবেন বাবর আজম-জস বাটলাররা।
১৯৯২ বিশ্বকাপের সঙ্গে তুলনা
অবশ্যই মিল রয়েছে। আমরা ট্রফি জেতার চেষ্টা করব। এই বড় মঞ্চে দলের নেতৃত্ব দেওয়া সম্মানের। আমাদের শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করব।
বিদায়ের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফাইনালে পাকিস্তান
প্রথম দুটি ম্যাচ হেরেছি, এ জন্য আমাদের মূল্য দিতে হয়েছে। কিন্তু ভালো পারফর্ম করে আমাদের দল সেমিফাইনালে উঠেছে। আমরা শেষ চারেও ভালো ক্রিকেট খেলছি। হ্যাঁ, ফাইনালেও সেই গতি ধরে রাখার চেষ্টা করব।
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার সুবিধা
ইংল্যান্ড ভালো দল, তাদের অনেক ভালো খেলোয়াড় রয়েছে। তাদের ভালো ফাস্ট বোলার ও ব্যাটার রয়েছে। এই ম্যাচে নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।
পাকিস্তানের শক্তি পেস আক্রমণ
ইংল্যান্ড কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী দল, ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠাই প্রমাণ। আমাদের কৌশল হলো পরিকল্পনায় অটল থাকা। আমাদের শক্তি পেস আক্রমণ ব্যবহার করা।
‘ফতেহ আজম’ হতে এক ম্যাচ দূরে
আমরা ভালো শুরু করতে পারিনি। কিন্তু দারুণভাবে দ্রুতই ফিরে এসেছি। গত ৩-৪ ম্যাচে দল ব্যক্তিগত ও দলগত—উভয় পর্যায়েই দারুণ খেলেছে। আমরা এ জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। ফাইনালে ওঠাটা স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে।
এটা আমাদের কৌশলেরই একটি অংশ। আমরা চাই, পুরো বিশ্বের সমর্থকদের উত্তেজনা কমাতে একটি সম্পূর্ণ ম্যাচ হোক।
সেমির পারফরম্যান্সে স্বস্তি
অবশ্যই, ভালো স্কোর না করলে বড় চাপ তৈরি হয়। এখানে আমি মিডল অর্ডারের প্রশংসা করতে চাই, তারা এগিয়ে এসেছে। আমি ও রিজওয়ান যা পারিনি, তা করার দায়িত্ব নিয়েছিল। ইফতেখার, শাদাব ও হারিস দারুণ খেলেছে। তরুণ হলেও হারিস নিজেকে প্রমাণ করেছে এই আসরে।
টস কতটা গুরুত্বপূর্ণ
টস জিততে হবে এমন কিছু নয়, এটা খুব একটা ব্যাপার না। তবে হ্যাঁ, অন দ্য স্পট আবহাওয়ার পরিস্থিতি— পরিকল্পনার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।