গৌরনদীর এক সময়ের কর্মব্যস্ত কুমারপাড়া এখন অনেকটাই নীরব। বাজারে আধুনিক তৈজসপত্রের চাহিদা বেড়ে যাওয়া, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব এবং মাটির দাম বৃদ্ধিসহ নানা সংকটে এ শিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে বলে জানান কুমারেরা। যাঁরা এখনও এ পেশা আঁকড়ে ধরে আছেন, মাটির তৈরি সামগ্রীর চাহিদা না থাকায় তাঁরা অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছেন।
গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দর এলাকার পাল পারার অনেক পরিবার এক সময় এ পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিন্তু অনেক পরিবারের সদস্যরা এ পেশা ছেড়ে ভিন্ন পেশায় যুক্ত হয়েছে।
টরকী বন্দরের পাল পারার মৃৎশিল্পী বিকাশ পাল বলেন, ‘যুগ যুগ ধরে বংশ পরম্পরায় মাটির জিনিস তৈরি করে আসছি। এ পেশার সঙ্গে জড়িত থাকলেও আমাদের উন্নয়নে বা আর্থিক সহায়তায় সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’
মাহিলাড়া ইউনিয়নের মৃৎশিল্পী গিতা বালা জানান, মাটির তৈরি এসব সামগ্রী শুকানো, রং করাসহ পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত করতে সাত দিন সময় লাগে। পরে এগুলো বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয় দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
মাহিলারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু জানান, মাটির জিনিসের চাহিদা কমতে থাকায় এবং দূরের এলাকা থেকে বেশি দামে মাটি কিনতে হয় বলে মৃৎশিল্পীরা আগ্রহ হারাচ্ছেন। তবে কিছু পরিবার বংশ পরম্পরায় এ পেশায় রয়ে গেছেন।