তাবলিগের যাওয়ার কথা বলে ওসমানীনগরে ২১ দিন ধরে একই গ্রামের চার যুবক নিখোঁজ রয়েছেন। বন্ধ রয়েছে তাঁদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন। তাঁরা সিলেটের দুটি মারকাজ থেকে তাবলিগ জামায়াতেও যাননি বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশের একটি সূত্র। এদিকে তাঁদের সন্ধানে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
নিখোঁজ যুবকেরা হচ্ছেন, উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের দয়ামীর গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে হাসান সায়িদ (২৪), মানিক মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম তুহিন (২৪), শেখ শামসুল হক স্বপনের ছেলে শেখ আহমেদ মামুন (২৩) ও মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাদিকুর রহমান (৩৩)। নিখোঁজের ঘটনায় শেখ শামসুল হক স্বপন ওসমানীনগর থানায় জিডি করেছেন।
নিখোঁজদের মধ্যে শেখ আহমেদ মামুন সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। এ ছাড়া হাসান সায়িদ একজন মুফতি, সাদিকুর রহমান দয়ামীরের লন্ডন ফিটনেসের ট্রেইনার, সাইফুল ইসলাম তুহিন স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় নবম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। এদের মধ্যে হাসান সায়িদ ও সাদিকুর রহমান বিবাহিত।
জানা যায়, গত ১৫ নভেম্বর তাবলিগ জামাতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন ওই চার যুবক। কয়েক দিন পর পরিবারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করলে তাঁদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাঁরা কাদের সঙ্গে তাবলিগ-জামাতে গেছেন সে ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই পরিবারের কাছে।
নিখোঁজ মামুনের বাবা শেখ শামসুল হক স্বপন বলেন, তাবলিগ জামাতে যাওয়ার কথা বলে চারজন একসঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়। আর বাড়িতে ফেরেনি বা যোগাযোগও করেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাঁদের সন্ধান না পেয়ে থানায় জিডি করেছি। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম আমাদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য নিয়েছে। কিন্তু তাঁদের সন্ধান ২১ দিনেও পাওয়া যাচ্ছে না।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাঈন উদ্দিন বলেন, নিখোঁজের ঘটনায় থানায় জিডি হয়েছে। তাঁদের সন্ধানে পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সংস্থা কাজ করছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।