চার বছরের দাম্পত্য, তারও আগে প্রেমের দিনগুলো—সব মিলে প্রায় এক যুগ নাগা চৈতন্যর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন সামান্থা রুথ প্রভু। সেপ্টেম্বরে যখন সামান্থা ছাড়াছাড়ির ঘোষণা দিলেন, তখন বিমর্ষ হয়ে পড়েছিল দক্ষিণ ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। সামান্থা আলাদা হলেন। নিজের মতো করে কাজও করছেন। গুছিয়ে নিয়েছেন নিজেকে।
কিন্তু বিচ্ছেদ-পরবর্তী সময়ে সামান্থার মানসিক অবস্থা কেমন ছিল, সেটা আঁচ করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। ভীষণ ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। সম্পর্ক ভাঙার বেদনা তাঁকে ক্রমাগত কাহিল করে তুলেছিল। কিন্তু সামান্থা ভেঙে পড়তে চাননি। প্রতিকূল অবস্থার সঙ্গে লড়াইয়ে নিজেকে টেনে তুলতে চেষ্টা করছিলেন। মনোবিদের কাছেও গেছেন অনেকবার।
তবে ওই সময়ে যাঁদের পরামর্শ সবচেয়ে বেশি কাজে দিয়েছে, তাঁরা সামান্থার কাছের কিছু মানুষ। সম্প্রতি জীবনের ওই অধ্যায় নিয়ে মুখ খুলেছেন সামান্থা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘জীবনের পরবর্তী অধ্যায়ে আমি যদি সফল হই, তবে এ কারণে নয় যে আমি মানসিকভাবে স্ট্রং। এ কৃতিত্ব তাঁদের প্রাপ্ত, যাঁরা ওই সময় আমার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। অনেক মানুষ আমাকে প্রতিনিয়ত উৎসাহ জুগিয়েছেন। কঠিন সময় থেকে বেরিয়ে আসার ব্যাপারে সাহায্য করেছেন।’
জীবনে কখনো কখনো খারাপ সময় আসতেই পারে। তবে সেই সময়ে গুটিয়ে থেকে নয়, বরং কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়, সে উপায় খোঁজা উচিত—এমনই মত সামান্থার।
সম্প্রতি সামান্থার ক্যারিয়ার আরও বিস্তৃত হয়েছে। যুক্ত হয়েছেন ‘অ্যারেঞ্জমেন্ট অব লাভ’ নামের
একটি হলিউড ছবিতে। এতে তিনি অভিনয় করবেন এক তামিল সমকামীর চরিত্রে।