ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কৃষকের স্বপ্নের ধান এখন হাঁটু পানির নিচে। কৃষকের কষ্টে রোপণ করা আমন ধান পাকায় হওয়ায় কাটতে শুরু করেছিলেন তাঁরা। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি অনেকে ৪০-৬০ ভাগ ধান বাড়িতে নিলেও অনেকেই কেটে মাঠে শুকানোর জন্য রেখেছিলেন। পাশাপাশি পেঁয়াজের বীজতলা ও মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষাবাদ শুরু হয়েছিল। এরই মধ্যে হঠাৎ শুরু হয় বৃষ্টি। আর তাতেই যেন কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গের শুরু।
গত শনিবার হালকা বৃষ্টি থেকে শুরু হলেও রোববার থেকে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। অবিরাম পরছেই। আর এটাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে কৃষকদের।
গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার নারুয়া, জামালপুর, নবাবপুর, বালিয়াকান্দির বিভিন্ন মাঠে ও বিলে গিয়ে দেখা যায়, অনেকের ধান হাঁটু পানিতে ভাসছে। কেউ কেউ বৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য তাবু দিয়ে ঢাকলেও তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না। পুরো ধানই ভিজে যাচ্ছে। অন্যদিকে পেঁয়াজের গোড়ায় জমছে পানি।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রবি ও সোমবার ভারী বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন বিলের কয়েক শ হেক্টর আমনের জমি প্লাবিত হয়। এসব জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে যায়।
কৃষক মানিক জানান, তিনি ১০০ শতাংশ জমিতে আমন ধান আবাদ করেছেন। কিন্তু বৃষ্টিতে তাঁর সব জমি তলিয়ে গেছে। তিনি মাত্র ১৮ শতাংশ জমির ধান কাটতে পেরেছেন। অবশিষ্ট জমির ধান এখনো পানির নিচে।
কৃষক রবিউল বলেন, তাঁরা ৩০ শতক মুড়িকাটা পেঁয়াজ লাগিয়েছিলেন। বৃষ্টিতে এই পেঁয়াজের গোড়ায় পানি জমছে। আর পানি জমার ফলে পেঁয়াজ গাছগুলো মরে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, বৃষ্টিতে বালিয়াকান্দির বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে গেছে। উপজেলায় ১ হাজার ১০০ হেক্টর মুড়িকাটা পেঁয়াজ লাগানো হয়েছে। যা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে বৃষ্টি কমলে ফসলের তেমন কোনো সমস্যা হবে না। তবে হালি পেঁয়াজের বীজতলা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।