রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিলীনের পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের একমাত্র বিনোদনকেন্দ্রটি। সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে গড়ে ওঠা মেঘনা নদীর তীরের এই জায়গাটি একসময় হাজারো দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখর থাকত। কিন্তু বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পর্যটকশূন্য। এ জন্য ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ১৯৯৯ সালে শুরু হয়ে ২০০২ সালে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর কাজ শেষ হয়। জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর থেকেই আশুগঞ্জ, ভৈরব ছাড়াও অন্যান্য এলাকার জনসাধারণ ঘুরতে আসতেন এখানে। ফলে জমজমাট হয়ে উঠেছিল এই স্থানটি। সেই সঙ্গে আশুগঞ্জবাসীর জন্য সেতুর নিচের মেঘনার তীর পরিণত হয়েছিল বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে।
জনসাধারণের পদচারণায় মুখরিত থাকা এই স্থানটি এখন পরিণত হয়েছে ভয় ও আতঙ্কে। নিয়মিত নজরদারির অভাবে বখাটেদের উৎপাত বেড়ে যাওয়া এবং চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়তে থাকায় ধীরে ধীরে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ে এলাকাটি।
নিয়মিত সেতুর নিচে পরিবার নিয়ে বেড়াতে যেতেন সামসুল আলম নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, পরিবেশ-পরিস্থিতি আগের মতো না থাকায় সেখানে আর যান না তিনি।
খোকন নামের এক যুবক বলেন, কয়েকদিন আগে দুই দিন পর স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে এসে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছিলেন তিনি।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরবিন্দ বিশ্বাস বাপ্পি বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। জায়গাটি পরিদর্শন করে অবৈধ দখলদার কেউ থাকলে তাঁদের উচ্ছেদ করে পুনরায় বিনোদনেরকেন্দ্র হিসেবে উপযোগী করে তুলার চেষ্টা করা হবে।