অপহরণের চার ঘণ্টা পর তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সিএ (গোপনীয় সহকারী) তেজেন্দ্র কুমার দেবনাথ। গত বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
তেজেন্দ্র কুমার দেবনাথ জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অফিসের কাজ শেষে নিজ বাড়ি ফেনীতে ফিরতে সীতাকুণ্ড বাসস্ট্যান্ডে যান। পরে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মাইক্রোবাসে ওঠেন। মাইক্রোবাসটি সীতাকুণ্ড বাসস্ট্যান্ড থেকে কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পর ভেতরে যাত্রীবেশে থাকা ছয়-সাতজন তাঁর গলায় গামছা পেঁচিয়ে ধরেন। এরপর তাঁরা তাঁর নাম-পরিচয় জানতে চান। তিনি ইউএনওর কার্যালয়ে চাকরি করেন জানালে তাঁর কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। একপর্যায়ে তিন লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। প্রাণভয়ে তিনি স্ত্রীকে ফোন করে তিন লাখ টাকা ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন। টাকা পাওয়ার পর চোখে মরিচের গুঁড়া দিয়ে তাঁকে মহাসড়কের পাশে ফেলে চলে যান অপহরণকারীরা।
তেজেন্দ্র কুমার দেবনাথ আরও জানান, গলায় গামছা দিয়ে টানাটানি ও শারীরিক নির্যাতনের কারণে বর্তমানে তিনি বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সুস্থ হয়ে এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘অপহরণের ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার রাতে সিএ তেজেন্দ্র বাবু আমাকে অবহিত করেছেন। তিনি সুস্থ হলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমাকে তিনি এখনো কিছু জানাননি। তিনি সুস্থ হয়ে আসুক। কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামের অলংকার পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অপহরণকারী চক্র মাইক্রোবাসে যাত্রী তুলে তাদের অপহরণ করছে। পরে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করে তারা।