বলিউড বক্স অফিসে এখন চলছে শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’ সুনামি। এ সুনামি শুধু ভারতেই নয়, ছড়িয়েছে সারা বিশ্বে। জওয়ান সিনেমা দেখতে প্রেক্ষাগৃহে ভিড় জমাচ্ছেন হাজারো মানুষ। মুক্তির পর থেকেই আয়ের রেকর্ড করছে সিনেমাটি। বিশ্বব্যাপী তিন দিনে সিনেমাটি আয় করেছে ৩৮৪.৬৯ কোটি রুপি (রিড চিলির তথ্য মতে)। সিনেমায় দ্বৈত চরিত্রের শাহরুখকে দেখা গেছে প্রায় ৮টি ভিন্ন ভিন্ন লুকে। তবে সব চরিত্রে একা অভিনয় করেননি শাহরুখ। তাঁর দ্বৈত চরিত্র হিসেবে সঙ্গে ছিলেন প্রশান্ত ওয়ালদে। তা ছাড়া, সিনেমার দৃশ্যে টাক মাথার শাহরুখ যে মেট্রোটি হাইজ্যাক করেন, সেটাও কিন্তু সত্যি কোনো মেট্রো নয়।
কখনো বিক্রম রাঠোর হয়ে আবার কখনো আজাদ হয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন শাহরুখ খান। তবে এ প্রশংসার ভাগীদার শাহরুখ একা নন। অ্যাকশন ও স্টান্ট দৃশ্যে শাহরুখের হয়ে অভিনয় করেছেন প্রশান্ত ওয়ালদে। ‘পাঠান’সহ প্রায় ১৭ বছর ধরে শাহরুখের সিনেমাগুলোতে দ্বৈত চরিত্রে ও অ্যাকশন দৃশ্যে কাজ করছেন তিনি।
সম্প্রতি, গণমাধ্যমকে জওয়ান শুটিংয়ের বেশ কিছু তথ্য জানিয়েছেন প্রশান্ত। তিনি বলেছেন, ‘প্রথমবারের মতো প্রস্থেটিক মেকআপে দীর্ঘ এক মাস অভিনয় করেছি। প্রস্থেটিকের সাজে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হতো বলে গা জ্বালা করত। তাই এক দিন পরপর শুট করা হতো।’
তবে প্রশান্ত, বিক্রম রাঠোর নাকি আজাদ চরিত্রে কাজ করেছেন, এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কখনো শাহরুখ খান আজাদের চরিত্রে আবার কখনো বিক্রম রাঠোরের চরিত্রে কাজ করেছেন। শাহরুখ খান যে চরিত্রে থাকতেন, আমি তার বিপরীত চরিত্রে থাকতাম।’
এ তো গেল দ্বৈত চরিত্রের রহস্য। সিনেমার মেট্রোরেল হাইজ্যাকের যে দৃশ্যটি রয়েছে, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে বিস্তর আলোচনা। দৃশ্যে দেখা যায় মেট্রো চলছে, হঠাৎ করেই সাবওয়েতে আটকে যায় রেলটি। বন্দুক হাতে হাজির হয় গার্লস গ্যাং। একপর্যায়ে ব্যান্ডেজ মাথায় হাজির হন শাহরুখ। ব্যান্ডেজ খুলতেই দেখা মেলে টাক মাথার শাহরুখের। দৃশ্যটি দেখে বোঝার উপায়ই নেই, এটা কোনো আসল মেট্রো ছিল না। পুরোটাই ছিল বোর্ড-কাঠের তৈরি সেট। মেট্রোর ডিজাইন করেছেন মুথুরাজ থাঙ্গাভেল।
অ্যাটলি পরিচালিত জওয়ান সিনেমায় আরও আছেন নয়নতারা, দীপিকা পাড়ুকোন, বিজয় সেতুপতি, সঞ্জয় দত্ত, সানিয়া মালহোত্রা প্রমুখ। প্রযোজনা করেছে শাহরুখ ও গৌরী খানের প্রতিষ্ঠান রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্ট।