লক্ষ্মীপুরের নন্দীগ্রাম বদরপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য পদে ফরম জমা দিতে গিয়ে বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের মারধরের শিকার হয়েছেন এক ব্যক্তি। এ সময় তাঁকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ওই ইউপি চেয়ারম্যান ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বশিকপুরের নন্দীগ্রাম বদরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ওই ঘটনা ঘটে।
গত ২৬ ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বশিকপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে পরাজিত হন আবুল কাশেম জিহাদী। এর আগে হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানায় সাতটি মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
ঘটনার শিকার মো. কামরুজ্জামানের ভাষ্যমতে, তিনি বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বাবা। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য পদে প্রধান শিক্ষক বেলালের কাছ থেকে গত বুধবার দুপুরে তিনি ফরম কিনতে যান। প্রথমে তাঁকে ফরম না দিয়ে পোদ্দার বাজারে পাঠানো হয়। সেখানে কোনো দোকানে ফরম না পেয়ে তিনি আবার বিদ্যালয়ে যান। এ সময় তাঁকে ফরম দেওয়া হয়।
ফরম পূরণ করে জমা দিতে গেলে অনুসারীদের নিয়ে কাশেম জিহাদি এসে তাঁকে মারধর করে কামরুজ্জামানকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। এ সময় তাঁকে গুলি করার হুমকিও দেওয়া হয়। ফরম জমা দিতে না পেরে তিনি বিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে যান।
আগামী ২৩ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম বদরপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নির্বাচন। গত বুধবার শেষ সময় পর্যন্ত সদস্য পদে চারজন পুরুষ ও একজন নারী ফরম জমা দিয়েছেন।
বশিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেন বলেন, ‘কাশেম জিহাদী ও তাঁর অনুসারীরা কয়েকজনকে বিদ্যালয়ের ফরম জমা দিতে দেননি। ফরম জমা দিতে গেলে একজনকে মারধরও করা হয় বলে শুনেছি।’
তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জিহাদী মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, একটি গোষ্ঠী তাঁর বিরুদ্ধে নতুন নতুন নাটক সাজাচ্ছে।