খাগড়াছড়ির দুই শতাধিক বিহারে চলছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব দানোত্তম কঠিন চীবর দান। ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় পালিত হলেও এটি এখন জেলার পাহাড়ি ও বাঙালিদের একটি সর্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে। আগামী ২১ নভেম্বর শেষ হবে এই উৎসব।
বৌদ্ধ পুণ্যার্থীরা জানান, প্রত্যেক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী জীবনে একবার হলেও চীবর দান করে থাকেন। এ সময় ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার, বুদ্ধমূর্তি, কল্পতরু, হাজার প্রদীপ, ভিক্ষুদের পিণ্ড দানসহ নানাবিধ দান করা হয়।
খাগড়াছড়ির অগ্র মৈত্রী বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ভদন্ত তেজ বংশ মহাস্থবির বলেন, যে ভিক্ষু কঠিন চীবর দান গ্রহণ করেন তিনি বহু পাপ থেকে মুক্তি পান। যিনি কঠিন চীবর দান করেন তিনি অনেক পুণ্য লাভ করেন।এর মধ্যে আমরা ভাবের আদান প্রদান করি।
কঠিন চীবরদান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রতিটি বিহারের নিরাপত্তা দিচ্ছে জেলা পুলিশ। খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আব্দুল আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কঠিন চীবর দান সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য সার্বিক নিরাপত্তা দিচ্ছে জেলা পুলিশ।’