হোম > ছাপা সংস্করণ

খাওয়া-দাওয়ার ইসলামি শিষ্টাচার

মুনীরুল ইসলাম

ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে, ‘মানুষ খাওয়ার জন্য বেঁচে থাকে না, বরং বেঁচে থাকার জন্য খাবার গ্রহণ করে’। অর্থাৎ, অতি ভোজনবিলাসী হতে নিরুৎসাহিত করে ইসলাম। ইসলাম পানাহারের আদব-শিষ্টাচার এবং নিয়মকানুন অত্যন্ত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বিভিন্ন হাদিসে খাবার গ্রহণের যেসব শিষ্টাচারের কথা বলেছেন, এখানে তার কয়েকটি তুলে ধরা হলো: খাবার গ্রহণের আগে এবং পরে উভয় হাত ও মুখ ধুয়ে নেওয়া এবং কুলি করে নেওয়া। খাওয়া শুরু করার আগে ‘বিসমিল্লাহি ওয়া আলা বারাকাতিল্লাহ’ দোয়া পড়া। শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়তে ভুলে গেলে স্মরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘বিসমিল্লাহি আউয়ালাহু ওয়া আখিরাহ’ পড়া। বাঁ হাতে পানাহার না করা। খাওয়ার সময় কোনো খাবার নিচে পড়ে গেলে, এতে ময়লা ইত্যাদি লাগলে তা পরিষ্কার করে খাওয়া। তেমনি খাওয়া শেষ হয়ে গেলে হাত ধোয়ার আগে আঙুলের সঙ্গে লেগে থাকা খাবার চেটে খাওয়া।

দস্তরখান বিছিয়ে খাবার খাওয়া। কয়েকজন একসঙ্গে এক প্লেটে খাওয়া।

উটের মতো এক শ্বাসে পানীয় পান না করা। তিন শ্বাসে এবং ‘বিসমিল্লাহ’ বলে পান করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) টেবিলে ও ছোট ছোট পেয়ালায় খেতেন না, বরং তিনি ও তাঁর সাহাবায়ে কেরাম দস্তরখানে বসে একসঙ্গে খেতেন। কলস, হাঁড়ি, জগ ইত্যাদিতে মুখ লাগিয়ে পান না করা। পানির পাত্রে নিশ্বাস না ফেলা এবং ফুঁক না দেওয়া। দাঁড়িয়ে পান না করা।

রাসুলুল্লাহ (সা.) হেলান দিয়ে কিছু খেতেন না। কখনো খাবারের দোষ ধরতেন না। খাবার পছন্দ হলে খেতেন, নতুবা পরিহার করতেন। হজরত হুজায়ফা (রা.) বলেছেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের সোনা কিংবা রুপার পাত্রে পানাহার করতে নিষেধ করেছেন। খাওয়া শেষ হলে ‘আলহামদুলিল্লা হিল্লাজি আতআমানা ওয়া সাকানা ওয়া জায়ালানা মিনাল মুসলিমিন’ দোয়াটি পড়া। (বুখারি ও মুসলিম)

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ