আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে গতকাল বরিশালে চরমোনাই দরবার শরীফের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল শেষ হয়েছে। মোনাজাতে বিশ্বের সব মুসলমানের শান্তি, মুক্তি ও উন্নতি এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রে মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের অবসান ও দেশবাসীর কল্যাণ কামনা করা হয়।
সকাল সাড়ে ৮টা শুরু হওয়া প্রায় আধা ঘণ্টা স্থায়ী আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম। মুসল্লিদের কান্না আর আমিন আমিন ধ্বনিতে মাহফিল এলাকায় অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা হয়। মাহফিলের মাঠ উপচে আশপাশের বাড়ির বাগান, আঙিনা, নদীর পাড়সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে মুসল্লিরা মোনাজাতে অংশ নেন।
মোনাজাতের আগে ফজরের নামাজের পর শেষ বয়ানে চরমোনাই পীর বলেন, দেশ আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। স্থায়ী শান্তি আনতে হলে সর্বস্তরে ইসলামকে বিজয়ী করতে হবে। চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সারা দেশে ইসলামী আন্দোলন হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে চরমোনাই মাহফিলে চারজন মুসল্লি মারা গেছেন। গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত মাহফিল কম্পাউন্ডে নির্মিত অস্থায়ী হাসপাতালে তারা বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চরমোনাই মাহফিল মিডিয়া উপকমিটি সদস্য কেএম শরীয়াতুল্লাহ।
কেএম শরীয়াতুল্লাহ জানান, শুক্রবার বাকেরগঞ্জের আবু হানিফ হাওলাদার (৬৯) ও মাদারীপুরের মো. মামুন (৪৭) মারা যান। শনিবার চাঁদপুরের তাজুল ইসলাম গাজী (৬২) এবং রোববার পিরোজপুরের কাশেম আলী (৭৫) ইন্তেকাল করেছেন। মৃতদের লাশ জানাজা শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।