মিটার টেম্পারিং করে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) স্টোরকিপার আবদুল্লাহ আল মামুন ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে তাঁদের মালিকানাধীন ১০ তলা ভবনে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসি। ওই দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা দেড় কোটি টাকার বিদ্যুৎ চুরি করেছেন।
আবদুল্লাহ আল মামুন বর্তমানে ঢাকার পোস্তগোলার ডিপিডিসির স্টোরকিপার হিসেবে কর্মরত। সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির এক কর্মকর্তা বলেছেন, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারী হয়েও ডিপিডিসির অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আবদুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রী বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন।
মামলা ও ডিপিডিসি সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিলে আল হেরা ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড নামের ১০ তলা ভবনে অভিযান চালায় ডিপিডিসির বিশেষ টাস্কফোর্স দল। এ সময় আবদুল্লাহ আল মামুনের ওই ভবনে মিটার টেম্পারিং করে বিদ্যুৎ চুরির প্রমাণ পাওয়া যায়। টাস্কফোর্স জানতে পারে, মিটার টেম্পারিং করে আবদুল্লাহ আল মামুন ৫ লাখ ৮ হাজার ৫৮৬ ইউনিট বিদ্যুৎ চুরি করেছেন। জরিমানাসহ যার মূল্য ১ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার ৬৫৯ টাকা। এ ঘটনায় ৮ নভেম্বরের মধ্যে ওই বিল পরিশোধের জন্য ডিপিডিসি সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিট থেকে আবদুল্লাহ আল মামুনকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়। কিন্তু তিনি বিল জমা দেননি। ১৮ নভেম্বর ডিপিডিসি এনওসি সিদ্ধিরগঞ্জ বাণিজ্যিক কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী আকরাম হোসেন বিদ্যুতের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে (আদালত নম্বর ৪) মামলা করেন। মামলায় আবদুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রী মমতাজ বেগমকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলা ও বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগের বিষয়ে আবদুল্লাহ আল মামুনের বক্তব্য জানতে তাঁর ভবনে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই ভবনের একাধিক বাসিন্দা জানান, ঘটনার পর থেকে আবদুল্লাহ আল মামুন ও তাঁর স্ত্রীকে দেখা যাচ্ছে না। এরপর মামুনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এ ব্যাপারে ডিপিডিসির সিদ্ধিরগঞ্জ বাণিজ্যিক কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলা হওয়ার পর ওই ভবনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম ও আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।