হোম > ছাপা সংস্করণ

নগরবাসী গরমে হাঁসফাঁস যানজটে নাকাল

সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম

কদিন ধরে গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা নগরবাসীর। সঙ্গে রয়েছে লোডশেডিং। এর মধ্যে বাসা থেকে বেরিয়ে রাস্তায় গাড়িতে উঠলে পড়তে হচ্ছে যানজটে। গাড়িতে করে কোনো গন্তব্যে পৌঁছাতে লাগছে দ্বিগুণ সময়। সব মিলিয়ে ঘরে-বাইরে নগরবাসীকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।

সরেজমিনে নগরীতে এমন সড়ক কমই দেখা গেছে, যেখানে দিনের কোনো এক সময় যানজটের দেখা মেলে না। কোনো কোনো সড়কে তো দিনরাতে সমানে যানজট লেগে থাকছে। বিশেষ করে জিইসি মোড়, জাকির হোসেন রোড, ষোলশহর ২ নম্বর গেট, চকবাজার, জামালখান, আসকারদীঘির পাড়, টেরিবাজার, কোতোয়ালি, নিউমার্কেট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, অক্সিজেন, দেওয়ানহাট, আগ্রাবাদ, বন্দর, ইপিজেড, এ কে খান, অলংকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে বেশির ভাগ সময় যানজট লেগেই থাকছে।

গত ১৩ মে থেকে জাকির হোসেন রোডের জিইসি মোড় থেকে ওয়্যারলেস মোড় পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাসসহ সব ধরনের বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখেছে সিএমপি। একটি সেতু নির্মাণকাজের জন্য এই নির্দেশনা বলে জানায় পুলিশ। তবে তাতেও গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে যানজট কমেনি। কোনো কোনো সময় যানজট এক কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়। বন্দরমুখী ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের চলাচল বেড়ে যাওয়ায় কয়েক মাস ধরে ওই এলাকায়ও যানজট বেড়েছে।

ষোলশহর থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত সড়কে দায়িত্বরত একাধিক ট্রাফিক সদস্য জানান, ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা প্রকল্পের আওতায় চলমান কাজের বিভিন্ন সরঞ্জাম ও খাল থেকে তোলা মাটি রাস্তায় স্তূপ করে রাখা হয়েছে। যে কারণে রাস্তা সরু হয়ে পড়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, চট্টগ্রাম বন্দরগামী ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান বেড়ে যাওয়া, বিভিন্ন পরিবহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া, ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়ি, সড়কে চলমান কাজ, অবৈধ স্থাপনা ও পার্কিংকে যানজটের প্রধান কারণ মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া সড়কের পাশে নতুন ভবন গড়ে উঠলেও সেখানে পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা নেই।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ-ট্রাফিক) এন এম নাসির উদ্দিন বলেন, দিনে দিনে যেভাবে সড়কে গাড়ি বাড়ছে, সে তুলনায় নতুন কোনো সড়ক হচ্ছে না। যানবাহন রাখার জন্য কোনো টার্মিনাল তৈরি হয়নি।

এ ছাড়া নতুন নতুন মার্কেট, ক্লিনিকসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠছে। কিন্তু এগুলোতে পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা থাকছে না। মার্কেট কিংবা হাসপাতালে আসা লোকজন রাস্তায় গাড়ি রাখছে। দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জেও কোনো পার্কিং ব্যবস্থা নেই। সড়কে গাড়ি রেখে মালামাল লোড-আনলোড করা হচ্ছে।

টেরিরবাজারের দোকানগুলোতে ৩০-৩৫ হাজার কর্মচারী রয়েছেন। রাস্তাটি দিয়ে এত কর্মচারীর যাতায়াত, ক্রেতাদের আনাগোনা—সব মিলিয়ে সেখানেও যানজট তৈরি হচ্ছে। হকারদের পুনর্বাসন না করাটাও যানজট তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখছে।

ডিসি বলেন, ‘এগুলোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের মূলত যানজট নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেওয়া উচিত। রাস্তা যানজটমুক্ত রাখতে পুলিশ চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে এটা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ