২০০১ থেকে ২০১১ সাল। ১০ বছরে মোট ৮টি ‘হ্যারি পটার’ সিনেমা মুক্তি দিয়েছিল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্নার ব্রাদার্স। বিশ্বজুড়ে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যবসা করেছে এই সিরিজের সিনেমাগুলো। তবে এতেই মন ভরছে না প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের। ওয়ার্নার ব্রাদার্সের উদ্ভাবনপ্রধান ডেভিড জ্যাসলভ ভাবছেন হ্যারি পটারের গল্প নিয়ে আরও সিনেমা করার কথা।
সম্প্রতি হলিউড প্রযোজকদের সঙ্গে এক বৈঠকে ডেভিড জ্যাসলভ জানিয়েছেন, তাঁরা এখন ফ্র্যাঞ্চাইজির ওপর জোর দিতে চাইছেন। তিনি বলেছেন, ‘গত ১৫ বছরে আমরা একটাও হ্যারি পটার করিনি। সুপারম্যান বানিয়েছি, তাও ১৩ বছর হলো। ডিসি ও হ্যারি পটার ফ্র্যাঞ্চাইজির সিনেমাগুলো থেকে ২৫ বছরে অনেক আয় করেছে ওয়ার্নার ব্রাদার্স। আমরা সেই দিন ফিরিয়ে আনতে চাইছি।’
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান তাই চেষ্টা করছে হ্যারি পটারের স্রষ্টা জে কে রাউলিংয়ের মন গলানোর। তিনি যদি নতুন কোনো গল্প দেন হ্যারি পটারের জন্য, সে চেষ্টাই চলছে। তবে এই পথটি এত সহজ হবে বলে মনে হয় না। কারণ, বিভিন্ন ইস্যুতে হ্যারি পটার অভিনেতা ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে জে কে রাউলিংয়ের।
২০১১ সালে সর্বশেষ ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হলোজ’-এর পর এই ফ্র্যাঞ্চাইজির আর কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। হ্যারি পটারকে ফিরিয়ে এনে কীভাবে আবার কিশোর মনে রোমাঞ্চের রসদ জোগানো যায়, সেই চেষ্টাই করছে বিশ্বের অন্যতম বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি। জানা গেছে, এখনো তাদের হাতে ‘লর্ড অব দ্য রিংস’-এর স্বত্ব রয়েছে। সেই সঙ্গে আরও কয়েকটি ‘হ্যারি পটার’ তৈরি হলে তার চেয়ে ভালো কী-ই বা হতে পারে!