বন্দরে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানুর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গতকাল শনিবার গাড়িচালক আলী হোসেন বাদী হয়ে এ অভিযোগে পরাজিত প্রার্থী কাজিম উদ্দিন প্রধানকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। এতে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১০ থেকে ১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ১১ নভেম্বর রাত ৯টায় উপজেলা গেটে প্রবেশ করার সময় কাজিম উদ্দিনের নির্দেশে ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানুর গাড়িতে হামলা চালায় তাঁর অনুসারীরা। এ সময় তাঁরা রড, হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটা নিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। হামলা থেকে বাঁচতে এ সময় চালক আলী ও ভাইস চেয়ারম্যান দৌড়ে উপজেলা ভবনে আশ্রয় নিলে তাঁদের ধাওয়া করা হয়। এরপর অভিযুক্তরা সানুর গাড়িটিকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি করে।
সানাউল্লাহ সানু জানান, ‘আমি ইউপি নির্বাচনে বিজয়ীদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য গত বৃহস্পতিবার রাতে ফুল নিয়ে বন্দর উপজেলা পরিষদের উদ্দেশে রওনা হই। ৯টার সময় উপজেলা গেটের সামনে পৌঁছামাত্র পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজিম উদ্দিন প্রধানের নির্দেশে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছেলে আমার গাড়িতে হামলা চালায়। তাঁরা আমার গাড়িটির ব্যাপক ক্ষতি করেন।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার উপপরিদর্শক মোদাচ্ছের বলেন, এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।