হোম > ছাপা সংস্করণ

বেশি করে পানি পান করতে হবে

প্রশ্ন: আমার বয়স ২৫ বছর। পেশায় স্কুল শিক্ষিক। বিয়ে হয়েছে দুই বছর হলো। শুরু থেকেই জন্মবিরতিকরণ পিল সেবন করেছি। এখন সন্তান নিতে চাই। চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত পিল খেয়েছি। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আর খাচ্ছি না। কিন্তু কনসিভও হচ্ছে না। এর মাঝখানে কয়েক মাস পিরিয়ডের তারিখ হেরফের হয়েছে। গত মাসে পিরিয়ডের তারিখের ১০ দিন পর পিরিয়ড হয়। আমি কোন ধরনের চিকিৎসা নিতে পারি?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, সুনামগঞ্জ

আপনার বয়স এবং মাসিকের ধরন দুটোই সন্তান ধারণের অনুকূলে রয়েছে। আপনি চাইলে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আপনার গর্ভধারণে কোনো সমস্যা আছে কি না, তা নিশ্চিত হতে পারবেন। আপনি কিছু রুটিন পরীক্ষা করান, যেমন আলট্রাসোনোগ্রাফ, থাইরয়েড ফাংশন, ব্লাড সুগার, এন্টিমূলেরিয়ান হরমোন লেভল পরীক্ষা। এরপর একজন গাইনি বিশেষজ্ঞকে দেখাতে পারেন। পাশাপাশি আপনার স্বামীরও কিছু পরীক্ষা করে দেখা দরকার। কারণ কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বামীর সমস্যার কারণেও গর্ভধারণে বিলম্ব ঘটতে পারে। সবকিছু যদি স্বাভাবিক থাকে, তাহলে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে আপনার প্রতি মাসে ফার্টাইল পিরিয়ডে গর্ভধারণের চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারেন।

ডা. মনীষা বর্মণ
শিশু ও নবজাতক রোগ বিশেষজ্ঞ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা

প্রশ্ন: আমার বয়স ২৮ বছর। কর্মজীবী। গত বছর করোনা হয়েছিল। এরপর থেকেই শরীর আগের তুলনায় অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়েছে। প্রেশার হঠাৎই নেমে যায়। হাত-পা কাঁপে। কয়েক দিন আগে প্রেশার কমে ৯০/৫৫-এ আসে। এটা কি খাদ্যাভ্যাসের কারণে হয়েছে? কী কী খাবার নিয়মিত খেতে পারি?

আদিব রহমান, ঢাকা

করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে পরবর্তী সময়ে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। অতিরিক্ত গরমের কারণে এসব জটিলতা আরও বেশি দেখা যাচ্ছে। বেশি করে পানি খাবেন, সম্ভব হলে টক দইয়ের লাচ্ছি, মাঠা, লেবুর শরবত, ডাবের পানি খান। আর ব্লাড প্রেশার ঘন ঘন কমে গেলে সেরাম ইলেকট্রোলাইট টেস্ট করিয়ে রক্তের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স করিয়ে নেওয়া ভালো হবে। মাঝে মাঝে স্যালাইন বা শরবতে লবণ দিয়ে খেতে পারেন। প্রতিদিন অবশ্যই একটি ডিম খাওয়া নিশ্চিত করুন।

শায়লা শারমিন
সিনিয়র নিউট্রিশনিস্ট ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল, ঢাকা

প্রশ্ন: আমার মায়ের ডায়াবেটিস রয়েছে। তাঁর পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলের নখের নিচে পুঁজের মতো কী যেন হয়েছে। গরম পানি ও স্যাভলন দিয়ে পরিষ্কার করে নেবানল পাউডার লাগিয়েছি। কিন্তু ব্যথা যাচ্ছে না। নখটাও ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। কী করণীয়?

রেহান আন্দালিব, দিনাজপুর

ডায়াবেটিকের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ডায়াবেটিক ফুট ডিজিজ; যা শুরুতে দৃষ্টির অগোচরে থেকে পরবর্তী সময়ে প্রকট আকার ধারণ করে। অনেক ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু না করলে অঙ্গহানি থেকে শুরু তরে প্রাণহানি পর্যন্ত হতে পারে। প্রাথমিকভাবে চোট একটি প্রদাহজনিত ক্ষত বা ছোট একটি আঘাত থেকে সৃষ্ট ক্ষত মারাত্মক পর্যায়ে চলে যেতে পারে। আপনার মায়ের ক্ষেত্রে প্রথমেই তাঁর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। পরিমিত খাবার, নির্দেশিত ব্যায়াম ও সঠিক ওষুধ সেবনের মাধ্যমে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব আপনার মাকে কাছের হাসপাতালের শল্যচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। এ ছাড়া ডায়াবেটিক ফুট কেয়ার বিভাগেও যোগাযোগ করতে পারেন। তবে পরে অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী পায়ের যত্ন নিতে হবে।

ডা. নাজমা আক্তার
সহকারী অধ্যাপক, হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগ, মার্কস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ