ইভিএম জটিলতায় গোপালপুরের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময়ের পরেও ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিড়ম্বনায় পড়েন অনেক ভোটার। যান্ত্রিক ত্রুটি ও সার্ভার জটিলতার কারণে এমনটি ঘটেছে বলে নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে কোনো কেন্দ্রেই মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি।
জানা গেছে, বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোটের সময়সীমা নির্দিষ্ট করা থাকলেও বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে সন্ধ্যা ছয়টার পরেও ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ধোপাকান্দি ইউনিয়নের সুজনবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। এ ছাড়া আলম নগর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা, নগদা শিমলা ইউনিয়নের চানপুর দাখিল মাদ্রাসা, বাইশকাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও মাকুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও চারটার পর ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। তবে অনেক ভোটারকে ভোট না দিয়ে চলে যেতে দেখা গেছে।
আলম নগর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রের বাইরে কথা হয় কহিনুর, হামিদা বেগম ও বাছিরণ নামের তিন ভোটারের সঙ্গে। তাঁরা ভোট না দিয়েই বাড়ি চলে যাচ্ছেন কেনো জানতে চাইলে। তাঁরা বলেন, সকাল সাড়ে আটটার দিকে ভোট দিতে এসেছি এখন বাজে বেলা বারোটা। মেশিনে কি জানি হইছে ভোট দিতে দেরি হচ্ছে তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি।’
এ ছাড়া বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের ভোটারেরা অভিযোগ করে বলেন, তাঁদের ভোট জোর করে নেওয়া হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এমন চিত্র দেখা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভোটার জানান, কেন্দ্রের ভেতর নৌকার এজেন্টরা প্রকাশ্যে ভোট দিতে চাপ দিচ্ছেন। মেশিনে আঙুলের ছাপ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারাই ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। একই অভিযোগ করেছেন নবগ্রাম ভোট কেন্দ্রের ভোট দিতে আসা অপর এক ভোটার।
এ সব বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। সুজনবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি ইভিএম মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটি হওয়ায় ভোট গ্রহণে দেরি হয়েছে। আর জোর করে ভোট নেওয়ার বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে মৌখিকভাবে যে সব অভিযোগ পাওয়া গেছে তা সঙ্গে সঙ্গেই সমাধান করা হয়েছে বলেও দাবি করেন এই কর্মকর্তা।