সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে নিষ্কণ্টক থাকলেও বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে রিয়াদের সম্পর্কে অনেক কাঁটা দেখা যাচ্ছে। তারপরও দেশটির জন্য ৬৫ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পেন্টাগন জানায়, সৌদি আরবের সীমান্তে গত কয়েক বছরে আক্রমণ বেড়েছে। ইরানি সহায়তাপুষ্ট ইয়েমেনের হুতিরা সৌদি আরবে নিয়মিত ড্রোনসহ বিভিন্ন ধরনের হামলা চালাচ্ছে। এ অবস্থায় ইয়েমেনের সংঘর্ষ শেষ করতে এবং সৌদি আরবের আত্মরক্ষার্থে এসব অস্ত্র কাজে লাগবে। ২৬ অক্টোবর পররাষ্ট্র বিভাগ এ অস্ত্র বিক্রি অনুমোদন করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতা নেওয়ার পর প্রকাশিত এক মার্কিন সরকারি প্রতিবেদনে জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের পরোক্ষ হাত ছিল বলে উল্লেখ করা হয়। তা ছাড়া সৌদিতে বিক্রি করা মার্কিন অস্ত্র ইয়েমেন যুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে, যেখানে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতি দেশটিতে অস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসনের ওপর চাপ তৈরি করে সাংসদেরা।
বিরাজমান পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন কংগ্রেস সহজে অনুমোদন করবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের উভয় কক্ষ বা কংগ্রেস অনুমোদন না দিলে এ অস্ত্র বিক্রি সম্ভব হবে না।
রয়টার্সের তথ্যমতে, ঘোষিত প্যাকেজে রয়েছে ২৮০টি মধ্যম পাল্লার বিমান থেকে বিমান (এয়ার টু এয়ার) নিক্ষেপ করার ক্ষেপণাস্ত্র। ৫৯৬টি মিসাইল রেল লাঞ্চার এবং আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম।