হোম > ছাপা সংস্করণ

গন্তব্যে পৌঁছাতে পারাই বড় কথা

গাজী মিজানুর রহমান

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে শিক্ষার্থীরা পড়তে চান না; অথবা পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ থাকে না। কিন্তু কিছু কৌশল অবলম্বন করলে এই ধরনের সমস্যা অনেকটাই সমাধান করা সম্ভব। তাহলে জেনে নেওয়া যাক পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার এমন কয়েকটি কার্যকরী উপায়-

লক্ষ্য ঠিক করুন
ফুটবল খেলায় যদি গোলপোস্ট না থাকত, তাহলে রোদের মাঝে ৯০ মিনিট কেউ দৌড়াতে চাইত না। ক্রিকেট খেলায় বাউন্ডারি লাইন না থাকলে ব্যাটসম্যান ব্যাটিং করে আনন্দ পেত না। অর্থাৎ সবকিছুতে একটি লক্ষ্য থাকতে হয়। পড়াশোনার পেছনেও লক্ষ্য থাকা চাই।

রুটিন তৈরি করুন
আগামীকাল কী পড়বেন, তা আগের দিন প্ল্যান করে আলাদা খাতায় লিখে রাখুন এবং পরের দিন সেই প্ল্যান অনুযায়ী পড়ুন। খাতার নাম দিতে পারেন ‘স্টাডি প্ল্যান খাতা’। প্রতি সপ্তাহ ও মাসে কোন কোন সাবজেক্ট বা বই শেষ করবেন, তা-ও প্ল্যান করে খাতায় লিখে রাখুন এবং একটি দৈনিক পড়ার রুটিন করতে পারেন। এতে করে দ্রুত কোনো বই বা সাবজেক্ট শেষ করতে পারবেন এবং পড়ার প্রতি একটা আগ্রহ তৈরি হবে।

যা ভালো লাগে তাই পড়ুন
আপনার যখন পড়তে ইচ্ছে করে না, তখন যদি এমন বিষয় পড়তে চান, যেটা পড়তে ভালো লাগে না তাহলে আপনার আর পড়তেই ইচ্ছে করবে না। তাই পড়ার টেবিলে বসার আগে এমন কোনো বিষয় দিয়ে পড়া শুরু করুন, যেটা আপনার পড়তে ভালো লাগে বা পড়ে আনন্দ পান।

পড়া ভাগ করে নিন
একটা বইয়ের যদি অনেকগুলো চ্যাপটার থাকে, কিংবা কোনো চ্যাপটার যদি অনেক বড় হয়; তাহলে সেগুলো ভাগ করে নিন কয়েক ভাগে। এতে করে পড়া কম মনে হবে এবং পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে। কিন্তু একসঙ্গে যদি অনেক মোটা একটা বই শেষ করতে হবে ভাবেন, তাহলে ভয়ে আর পড়তে ইচ্ছে না-ও করতে পারে; অথবা পড়াটা বোঝা মনে হতে পারে।

পড়ার মাঝে ব্রেক দিন
পড়ার মাঝে ছোট ছোট ব্রেক নিন। আপনি চাইলে অল্প সময় ঘুমিয়ে নিতে পারেন। পড়ার ব্রেকের মধ্যে পানি বা হালকা কিছু খেয়ে নিতে পারেন। এতে দীর্ঘ সময় ধরে পড়লেও ক্লান্ত বোধ হবে না। পড়তে ভালো লাগবে।

পড়ার সময় ইন্টারনেট ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
পড়ার সময় ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইউটিউব, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে সেগুলোর প্রতি মনোযোগ চলে যেতে পারে। তখন এগুলো ব্যবহার করতে ইচ্ছে করবে; পড়তে ইচ্ছে করবে না। তাই পড়ার সময় এগুলো ব্যবহার থেকে নিজে বিরত রাখুন।

দুশ্চিন্তা পরিহার করুন
অতীত নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করলে পড়ার প্রতি মনোযোগ কমে যায়। কেউ কেউ জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পিছিয়ে পড়েন। কিন্তু, পিছিয়ে পড়া আর লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়া একই বিষয় নয় ৷ তাই জীবনে পিছিয়ে পড়া নিয়ে অযথা না ভেবে, কীভাবে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়, সেটা নিয়েই ভাবুন।

আপনার জীবন থেকে যে সময় চলে গেছে, সেটা হয়তো আপনি আর ফিরিয়ে আনতে পারবেন না; বা ফিরিয়ে আনার ক্ষমতা রাখেন না; কিন্তু আপনার বর্তমান ও ভবিষ্যতের সময়টুকুকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার ক্ষমতা আপনি রাখেন। কে ট্রেনের কোন স্টেশন থেকে উঠেছেন, সেটা বড় বড় কথা নয়; কে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলেন, সেটাই বড় কথা।

রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন
আপনি যদি নিজের রাগ নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, তাহলে আপনার মনমেজাজ সব সময় খিটখিটে থাকবে। পড়তে ইচ্ছে করবে না তখন।

নিজের ওপর আস্থা রাখুন
আপনার সামর্থ্য নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলতে পারে। ‘আপনার দ্বারা হবে না। আপনি জীবনে কিছু করতে পারবেন না।’

এ ধরনের কথা পড়াশোনার প্রতি আপনাকে ডিমোটিভেটেড করতে পারে। তাই অন্যের কথা এড়িয়ে চলুন এবং নিজের সামর্থ্যের ওপর আস্থা রাখুন।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন
নিয়মিত ও পর্যাপ্ত খেলাধুলা ও ব্যায়াম আমাদের মনমেজাজ ও মস্তিষ্ককে চাঙা রাখতে সহায়তা করে। ফলে আপনার পড়তে ভালো লাগবে।

মোটিভেশনাল বই পড়ুন
বিভিন্ন মোটিভেশনাল বই ও আত্ম-উন্নয়নমূলক বই আপনাকে পড়াশোনার প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে সাহায্য করবে। তাই মাঝেমধ্যে এই ধরনের বই পড়তে পারেন; কিংবা ইউটিউবে মাঝেমধ্যে এই ধরনের ভিডিও দেখে নিতে পারেন।

আশা করি, উপরিউক্ত পরামর্শগুলো অনুসরণ করলে পড়াশোনার প্রতি আপনার মনোযোগ বৃদ্ধি সহায়তা করবে।

লেখক: ৩৫তম বিসিএস ক্যাডার, লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ