বরিশালের মুলাদীতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার কাজিরচরের রাঘুয়া কাজিরচর এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা আ. মন্নান ফকিরের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
থানায় চাঁদা দাবির অভিযোগ দেওয়ায় একই এলাকার সবুজ খানের ছেলে রাব্বী খানের নেতৃত্বে এই হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আহতরা। এই ঘটনায় আ. মন্নান ফকির বাদী হয়ে শুক্রবার রাতেই ৫ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় একটি মামলা করেছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে রাব্বী খানের পিতা ও মামলার আসামি সবুজ খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মুক্তিযোদ্ধা আ. মন্নান ফকির জানান, ছেলে আল মিরাজ সজিবের কাছে রাব্বী খান ও তার সহযোগীরা টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে মারধর করে রাব্বী খান।
ওই ঘটনায় মন্নান শুক্রবার মুলাদী থানায় রাব্বী খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তদন্তে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাব্বী খান ও তার সহযোগীরা রামদা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ইমরান ফকির, আল মিরাজ, জসিম ফকির, শাহাবুদ্দিন ফকির, আলমতাজ বেগমকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে।
স্থানীয়রা এসে তাঁদের উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান তাদের ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (পঙ্গু হাসপাতাল) নিয়ে যান স্বজনরা।
এই ঘটনায় শনিবার দুপুরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সবুজ খানকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। রাব্বী খান ও তাঁর সহযোগীরা পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘হামলায় ঘটনায় মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’