ভোলার মেঘনায় ঝড়ের কবলে একটি বালুবাহী বাল্কহেড এবং বেশ কয়েকটি জেলেনৌকা ডুবে গেছে। এ সময় বাল্কহেডের মাস্টার, সুকানিসহ ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল শনিবার সকালে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতলী এলাকায় মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
তুলাতলী এলাকার মো. মনজু ও নাছিম জানান, গতকাল শনিবার ভোর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ নদী উত্তাল হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে ঝড়ের কবলে পড়ে নদীতে থাকা এমভি তামিম-শামিম নামে একটি বালুবোঝাই বাল্কহেড ডুবে যায়। এ সময় বাল্কহেডে থাকা ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়।
ডুবে যাওয়া এমভি তামিম-শামিম বাল্কহেডের নাবিক মো. মনির বলেন, ‘আমরা নদী ভাঙন রোধের কাজের জন্য বালু নিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ঝড়ে আমাদের বাল্কহেড ডুবে যায়। পরে আমরা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ি। এ সময় স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করেন।’
ভোলার ইলিশা নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাজালাল বাদশা বলেন, ‘ভোলার মেঘনা নদীর ভাঙন রোধে জরুরি কাজের জন্য বাল্কহেডে বালু নেওয়া হচ্ছিল। তুলাতুলী মাছঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। তবে ওই সময় বাল্কহেডে থাকা শ্রমিকেরা স্থানীয়দের সহায়তায় তীরে উঠে আসেন। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
এ বিষয়ে ভোলা জেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মো. এরশাদ গতকাল শনিবার দুপুরে জানান, ঝড়ে মেঘনায় অনেক মাছ ধরার ট্রলার ডুবেছে। এতে জেলেদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হলেও হতাহতের কোনো খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।