লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যুর ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নিহতের বোন বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে রামগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বিজয়ী ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন খানকে। তিনি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন। এর আগে দলীয় গঠনতন্ত্র না মানায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। আমির হোসেন খান ছাড়া ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০ জনকে আসামি করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
এর আগে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের দিন গত রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহেনাজ আক্তার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আমির হোসেন খানের সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটাকাটির জের ধরে একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আমির হোসেনের সমর্থক মাসুদ হোসেন ইছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন সজীবের মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করেন। তাতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে সজীবের মৃত্যু হয়।