কাউনিয়ার টেপামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে গতকাল মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
ইউনিয়নের রাজিব গ্রামের বাসিন্দা ও বল্লভবিষু ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আলা উদ্দিন এবং একই গ্রামের মোশাররফ হোসেন ও বাবলু এই অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, রাশেদুল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর অনিয়ম করে ৮ হাজার পরিবারের বসতভিটার হোল্ডিং প্লেটের জন্য প্রতি পরিবারের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে মোট ৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এ ছাড়া টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ৩ হাজার ৫৯৯ জন উপকারভোগী প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে মোট ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯০০ টাকা নিয়েছেন। কর্মসৃজন কর্মসূচির ৩৯২ জন শ্রমিকের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে মোট ১ লাখ ১৭ হাজার ৬০০ টাকা সিল স্বাক্ষরবিহীন রসিদে আদায় করেছেন বলেও অভিযোগে জানানো হয়েছে।
অভিযোগকারী আলা উদ্দিন বলেন, রাশেদুল নির্বাচনে সরকার দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পাঁয়তারা করছেন। ইউনিয়নবাসীর পক্ষে তিনি এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরবার লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আলা উদ্দিনের দাবি, ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম ও মৃত নিবন্ধন, বসতবাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স, টিসিবির আওতাভুক্ত কার্ডধারী ব্যক্তি ও কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিকদের কাছ থেকে আদায়কৃত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হোক।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান রাশেদুল বলেন, ‘পরিষদের রসিদে আদায় করা টাকা ব্যাংকে জমা আছে। যারা ইউনিয়নের উন্নয়ন চান না, তাঁরাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। নির্বাচনে জয়লাভ করার পর থেকে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার পাঁয়তারা করে আসছে।’
যোগাযোগ করা হলে ইউএনও তাহমিনা তারিন বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারীরা আমার দপ্তর ছাড়াও জেলা অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা সাপেক্ষে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’