পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সড়ক নির্মাণকাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার ও রড ছাড়াই কাজ শুরু করার অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি, ড্রেনেজে রডের ব্যবহারের নির্দেশনা নেই। অপরদিকে তদারকি প্রতিষ্ঠান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) দাবি, তাঁদের না জানিয়ে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ৯২ লাখ ৩৬ হাজার ৭০৮ টাকার প্রকল্প ব্যয় ধরে জেলার কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে দৌলত গাজীর বাড়ি পর্যন্ত ১২ ফুট প্রস্থের ৮৮৪ মিটার কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। ৮৭ লাখ ৭৪ হাজার ৮৭২ টাকা চুক্তিমূল্যে ২টি ইউ ড্রেনসহ ১০ ইঞ্চি বালু, ৬ ইঞ্চি বালু ও খোয়ার মিশ্রণ, ৬ ইঞ্চি খোয়া, ২৫ মিলিমিটার কার্পেটিং এবং ৭ মিলিমিটার সিলকোট দিয়ে এ রাস্তার ঠিকাদারি পেয়েছে মেসার্স পটুয়াখালী ফার্মস।
এদিকে এলাকাবাসীর প্রতিবাদে গত বুধবার (৬ এপ্রিল) কাজ পরিদর্শনে আসেন এলজিইডির কার্য সহকারী জহিরুল ইসলাম। সরেজমিনে এ প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা হলে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্ন এড়িয়ে তিনি বলেন, এ প্রকল্পের কাজের বিষয়ে বিস্তারিত তাঁর জানা নেই। অফিসের নির্দেশে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী কবির গাজী বলেন, সর্বোচ্চ গুণগত মানের ইট ও রডের ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তা ও ড্রেনের পাইলিংয়ে ব্যবহার করছে নিম্নমানের ইট। রডের ব্যবহার ছাড়াই নির্মাণ করছে ইউ ড্রেন। ১০ ইঞ্চির পরিবর্তে ব্যবহার করছে ৭ ইঞ্চি বালু। এলজিইডি থেকে প্রকল্প থেকে নিম্নমানের ইট সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হলেও তা দিয়ে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ইউ ড্রেন ভেঙে ফেলার নির্দেশনা দিলেও তা করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার কাম ম্যানেজার পরিচয় দানকারী শোয়েব বলেন, ইউ ড্রেনে রডের ব্যবহারের নির্দেশনা নাই। তবে ইটের গুণমান ভালো।
কলাপাড়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল হোসেন বলেন, এলজিইডিকে না জানিয়ে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। মজুত নিম্নমানের ইট ব্যবহার না করাসহ সরিয়ে নেওয়া এবং ইউ ড্রেন ভেঙে তফসিল অনুযায়ী করার জন্য মৌখিক নির্দেশনাসহ অফিশিয়ালি চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।