কালোটাকা বৈধ করার একগুচ্ছ সুযোগ রেখেছে সরকার। এই টাকা বিনিয়োগ করলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) সরকারের কোনো সংস্থা বিনিয়োগকারীর আয়ের উৎস নিয়ে কোনো প্রশ্ন করবে না। ১০ শতাংশ কর দিয়ে নতুন শিল্পে কালোটাকা বিনিয়োগ করা যাবে। তবে চলতি অর্থবছর বিদ্যমান করের সঙ্গে ৫ শতাংশ জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় বিনিয়োগে তেমন একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না কালোটাকার মালিকেরা। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে মাত্র ১২২ জন কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ নিয়েছেন। এ পর্যন্ত সাদা হয়েছে মাত্র ১৫ কোটি টাকা। ফলে এ খাত থেকে সরকার কর পেয়েছে মাত্র ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। কালোটাকা বিনিয়োগে সবচেয়ে বেশি হতাশাজনক পরিস্থিতি পুঁজিবাজারে। প্রথম প্রান্তিকে বাজারটিতে বিনিয়োগ হয়েছে মাত্র ৩০ লাখ টাকা। এখান থেকে সরকারের তহবিলে কর বাবদ জমা হয়েছে মাত্র ১ লাখ টাকা।
এনবিআরের আয়কর বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ঢালাওভাবে কারও অবৈধ টাকা বৈধ করার সুযোগ দেওয়া ঠিক নয়। তাতে সৎ করদাতারা নিরুৎসাহিত হন। তাঁদের সঙ্গে এটা অবিচার। সে বিবেচনায় এবার জরিমানার বিধান রাখা হয়। হয়তো এ কারণেই এবার তেমন সাড়া দেখা যাচ্ছে না।’
সরকারি তথ্যানুযায়ী, গত অর্থবছর প্রায় ১২ হাজার ব্যক্তি ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা সাদা করেছেন। এখান থেকে সরকার কর পেয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা।