হোম > ছাপা সংস্করণ

তলিয়ে যাওয়া ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষক

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার মেঘনায় পানি বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। কৃষকেরা পানিতে তলিয়ে যাওয়া ধান কাটতে শুরু করেছেন।

পানিতে তলিয়ে উপজেলার গোয়ালনগর, ভলাকুট ও সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন হাওরের প্রায় ৪০০ হেক্টর জমির ধানের ক্ষতি হয়েছে। তবে কৃষি কর্মকর্তার দাবি এই জমির পরিমাণ ৭০ হেক্টর। কৃষকদের নিচু জমির ধান দ্রুত কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে।

গত মঙ্গলবারে সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন হাওরে কৃষকেরা হাঁটুপানিতে, কোথাও কোমরপানিতে নেমে, কোথাও ডুব দিয়ে কাঁচা ধান কাটছেন। এর মধ্যে অনেক জায়গায় পানির নিচে তলিয়ে থাকা ধানে পচন ধরেছে। এর আগে শিলাবৃষ্টি আর পানি বৃদ্ধির কারণে তলিয়ে যায় অনেক জমি। উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের কদমতলী ও সোনাতলা গ্রামের ধইল্যা বিল, মাইজখোলা গ্রামের তিতাজুরি বিল, জামারবালি গ্রামে খাসারচর বিল, রামপুর ও নোয়াগাঁওয়ের মেদির হাওরে ব্রি-২৮ ও ব্রি-১৭ পাকা ধান তলিয়ে গেছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের টেকানগর, নাসিরপুর ও সদরের মেদির হাওরের প্রায় ৫০ হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া অধিক ঝুঁকিতে রয়েছে উপজেলার বুড়িশ্বর, কুণ্ডা, গোকর্ণ ও হরিপুরের হাওর। উজানের ঢলে মেঘনার পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির কারণে দ্বিতীয় দফা এ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন এখানকার কৃষকেরা।

নাসিরনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, নাসিরনগরের মেঘনা নদীতে গত ২৪ ঘণ্টা অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দিনে মেঘনায় প্রায় ৭০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তাই দ্রুত ফসল কেটে ঘরে তুলতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, কারণ পানি আরও বাড়তে পারে। নাসিরনগরে বিভিন্ন হাওরে এ বছর প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে শিলাবৃষ্টি ও মেঘনায় পানি বৃদ্ধির কারণে প্রায় ১০০ হেক্টর ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গোয়ালনগর ইউনিয়নের মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘আমার দুই হেক্টর জমির অধিকাংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। যা আছে তাও বুকপানিতে নেমে কাটার চেষ্টা করছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সাইদ তারেক বলেন, ‘অনেক কৃষক ধান কেটে ফেলছেন। যাঁরা কাটেননি তাঁরা তিন-চার দিন সময় পেলে কেটে ফেলতে পারবেন। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করছি। উজানের পানির কারণে নাসিরনগরের নদ-নদী ও হাওরের পানির অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে ফসল তলিয়ে যাচ্ছে। তাই দ্রুত নিচু এলাকার ধান কেটে ঘরে তুলতে কৃষক ভাইদের প্রতি অনুরোধ রইল। তবে আমাদের এখানে ৭০ হেক্টরের মতো ফসল ডুবে গেছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মেহেদী হাসান খান শাওন বলেন, ‘কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার জন্য আমরা সব রকমের চেষ্টা করে যাচ্ছি। সব জায়গায় মাইকিং করা হয়েছে। এমনকি এলাকার মসজিদের মাইকেও ঘোষণা করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ