রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ কার্যালয়ে টাকা জমা দিয়েও সংকটের কারণে মিলছে না মিটার। আর এ জন্য আবেদন করেও বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে শত শত গ্রাহককে। মিটারের ঘাটতি আরও এক মাস থাকবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর প্রধান কার্যালয় মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়িতে অবস্থিত। এই সমিতির আওতায় পাঁচ উপজেলা মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ, পীরগাছা এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও সাদুল্লাপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এখানে গ্রাহক রয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ।
মিঠাপুকুরের কাশিপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম নামে একজন আবেদনকারী জানান, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে টাকা জমা করেছেন কিন্তু সংযোগ পাচ্ছেন না। বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় তিনি নবনির্মিত একটি বিপণিবিতান চালু করতে পারছেন না। এই বিপণিবিতানের জন্য তিনি ছয়টি মিটারের আবেদন করেছেন।
আরেক গ্রাহক নুরুজ্জাম মিয়া বলেন, তিনি দুই মাস আগে আবেদন করেছেন। তবে এখনো সংযোগ পাননি।
বর্তমানে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হয়। উপজেলা সদর বাজারের মা কম্পিউটার প্রতিষ্ঠানের মালিক মমিনুল মণ্ডল জানান, তিনি প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জনের আবেদন করে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নিবন্ধিত ইলেকট্রিশিয়ান বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এক আজব প্রতিষ্ঠান। এখানে মিটার নেই অজুহাতে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে।’
আরেকজন ইলেকট্রিশিয়ান জানান, মিঠাপুকুরেই প্রায় ৩০০ জন ইলেকট্রিশিয়ান কর্মরত রয়েছেন। প্রত্যেকের অধীনে একাধিক গ্রাহক সংযোগের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু গত প্রায় এক মাস ধরে সংযোগ দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) (কারিগরি) সপ্তর্ষি পাল জানান, কতজন সংযোগের জন্য আবেদন করেছেন তা এই মুহূর্তে বলা যাবে না। তবে তিনি মিটার সংকটের কথা স্বীকার করেন।
কথা হয় সমিতির সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক হরেন্দ্র নাথ বর্মণের সঙ্গে। তিনি বলেন, বর্তমানে মিটার সংকট রয়েছে। মিটার কেনার প্রস্তুতি চলছে। এক মাসের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই কর্মকর্তা।
রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি নুরুল ইসলাম লালন গত মঙ্গলবার বলেন, মিটার কেনা সম্পন্ন হলেই সংযোগ দেওয়া শুরু হবে। তিনি জানান, এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য এখনো অনেক চাহিদা রয়েছে। শতভাগ সংযোগ সম্পন্ন হওয়ার পরও নতুন সংযোগের জন্য আবেদন করছেন লোকজন।