করোনাভাইরাস সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। পাশাপাশি অনেকে আসছেন উপসর্গ নিয়ে। কিন্তু মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকায় সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেড় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে নমুনা পরীক্ষা।
গতকাল রোববার সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, অনেকে জ্বর, ঠান্ডা ও কাশি নিয়ে এসেছেন। তাঁরা করোনা পরীক্ষা করাতে পারেননি।
আয়শা সিদ্দিকা নামে এক রোগী বলেন, ‘আমাদের উপজেলায় করোনা পরীক্ষা বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী উপজেলা বেলকুচি ও নাগরপুর থেকে পরীক্ষা করতে গিয়ে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তা ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালে গেলে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে, যা দরিদ্র মানুষের কাছে অনেক ব্যয়বহুল।’
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, আগে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ রোগীর করোনা পরীক্ষা করা হতো। টেকনোলজিস্ট না থাকায় এখন তা সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে প্রতিদিন করোনা উপসর্গ নিয়ে একাধিক রোগী ফিরে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চৌহালী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, চৌহালীতে দুজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) ছিলেন। তাঁদের বদলিজনিত কারণে দেড় মাস ধরে করোনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন রাম পদ রায় জানান, চৌহালীতে করোনা পরীক্ষা শুরু করতে দ্রুত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দেওয়া হবে।