সম্প্রতি ভারতের রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারপারসন ও পরিচালক নীতা আম্বানির পান করা পানির দাম শুনে অনেকেই কিছুটা বিচলিত হয়েছেন। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, নীতা আম্বানির পান করা যে পানি নিয়ে এত কথাবার্তা, সেটি দামের দিক থেকে দ্বিতীয়।
আপনার কাছে অপচয় মনে হলেও স্বাস্থ্য ধরে রাখতে পানির মতো অর্থ খরচ করে পানি কেনেন বিশ্বের অনেক ধনকুবের। জেনে নিন বিশ্বের দামি ৫ মিনারেল ওয়াটার বোতলের নাম ও দাম।
ফিলিকো
জাপানের নেনোবিকি ঝরনার ৭৫০ মিলিলিটারের এক বোতল পানি পান করতে খরচ করতে হবে ২১৯ ডলার। এই পানির বোতল বেশ কয়েকটি লিমিটেড এডিশনে পাওয়া যায়। এর মধ্যে জনপ্রিয় ফিলিকো ব্ল্যাক কুইন। ১ হাজার ২০০ ডলারের বোতলটিতে আছে ৫৭টি সরোভস্কি ক্রিস্টাল।
নিভাস
জার্মান একটি স্টার্টআপ ২০১৯ সালে এই বোতল বাজারে আনে। রাতের বেলা বোতলের মধ্যে ডিজনির নানা চরিত্র নিয়ন রঙে ফুটে ওঠে। এর দেড় লিটারের একটি বোতলের দাম ১ হাজার ৭৮৮ ডলার। বিশেষ সংস্করণ ছাড়াও বোতলটি দেখতে বেশ সুন্দর। নামীদামি পার্টিতে গিয়ে বোতলটি দেখলে নির্ঘাত আপনি একে দামি পানীয়ের বোতল ভেবে বসবেন।
ব্লিং এইচটুও
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার পালোমার পাহাড় থেকে এই পানি সংগ্রহ করা হয়। তাদের তৈরি ১০ হাজারতম পানির বোতলটি ছিল ক্রিস্টালে মোড়ানো। এক বোতল পানির দাম ছিল ২ হাজার ৭০০ ডলার। তবে পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে এর এক বোতল পানির বিভিন্ন দাম রয়েছে।
অ্যাকুয়া ডি ক্রিস্টালো
এর পুরো নাম অ্যাকুয়া ডি ক্রিস্টালো ট্রিবিউটো আ মডিলিয়ানি। এই পানি পান করেন নীতা আম্বানি। বিশ্বের দ্বিতীয় দামি এই পানির ৭৫০ মিলিলিটারের একটি বোতল বিক্রি হয় ৬০ হাজার ডলারে। ফ্রান্স ও ফিজি থেকে এই পানি সংগ্রহ করা হয়। হীরা খচিত বোতলটি ২৪ ক্যারেটের সোনা দিয়ে তৈরি।
বেভারলি হিলস ৯০এইচ২ও
এই বোতলের পানি সংগ্রহ করা হয় ক্যালিফোর্নিয়ার পাহাড়ি ঝরনা থেকে। এতে উচ্চ পরিমাণে ইলেকট্রোলাইটস আছে। এর একেকটি বোতলের দাম ১৪ ডলার। তবে ২০১৫ সালে বাজারে আসে এর হীরক সংস্করণ। ১৪ ক্যারেটের হীরা খচিত সেই বোতল বানানো হয় মাত্র নয়টি। কালো ও সাদা হীরা খচিত বেভারলি হিলস ৯০এইচ২ওর ৭৫০ মিলিলিটারের একটি বোতলের দাম ধরা হয় ১ লাখ ডলার।