চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি সার্ভিস চালুর ২১ বছরেও উন্নত সুযোগ-সুবিধার ছোঁয়া লাগেনি চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাট টার্মিনালে। এ নিয়ে যাত্রী ও পরিবহনশ্রমিকদের দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইতিমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২১ বছর পার হলেও নেই কোনো সীমানাপ্রাচীর, যাত্রীছাউনি, উন্নত মানের পাবলিক টয়লেট কিংবা বিশ্রামাগার। ডাস্টবিন ও পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থাও নেই টার্মিনাল এলাকায়।
২০০০ সালে চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটে হরিণা ফেরিঘাট চালু হয়। ওই সময় যাত্রী ও চালকদের কথা ভেবে সদর উপজেলার ১৩ নম্বর হানারচরে একর জমির ওপর স্থাপন করা হয় পার্কিং ইয়ার্ড তথা টার্মিনাল। টার্মিনালটিতে প্রতিদিনই হাজার হাজার যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রাকের চালক-শ্রমিকেরা অবস্থান করলেও তাঁদের ব্যবহারের জন্য নেই যাত্রীছাউনি, উন্নত মানের পাবলিক টয়লেট আর বিশ্রামাগার।
এমনকি টার্মিনালটিতে নেই নিরাপত্তাকর্মী, সীমানাপ্রাচীর, ডাস্টবিন ও পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা। এ ছাড়া টার্মিনালে পাকা সীমানাপ্রাচীর বা কাঁটাতারের কোনো বেড়া না থাকায় প্রায়ই চালকদের টাকাপয়সা ও গাড়ির কাগজ চুরির ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম থেকে আসা কয়েকজন চালক ও শ্রমিক জানান, তাঁরা গাড়ি চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে টার্মিনালে আসেন। বিশ্রামাগার না থাকায় গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়ায় গাড়ির কাগজপত্র ও টাকাপয়সা চুরি হয়ে যায়। তখন শূন্য হাতে বাড়ি ফিরতে হয়। আর এখানে তাঁদের ব্যবহারের জন্য যে টয়লেট আছে, সেটির দরজা নেই। এ ছাড়া টার্মিনালে কোনো নিরাপত্তাকর্মী নেই। চুরির কোনো ঘটনা ঘটলে মডেল থানায় এসে জানাতে হয়। তাই টার্মিনালে একটি ফাঁড়ির দাবি তাঁদের।
চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক কায়সারুল ইসলাম বলেন, চালক, হেলপার ও যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে দ্রুত টার্মিনালের সমস্যাগুলো সমাধানে একটি প্রকল্প পাস হয়েছে। শিগগির সমস্যার সমাধানে কাজ শুরু হবে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি চট্টগ্রাম অঞ্চলে যাতায়াত করতে চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথ ব্যবহার করে। ফেরির এই স্থানের গুরুত্ব বিবেচনায় সাম্প্রতিক সময়ে সরকার এই রুটে ব্রিজ বা টানেল নির্মাণেরও পরিকল্পনা করছে। এ-সংক্রান্ত সরকারি একটি প্রস্তাবিত প্রকল্প এখন সম্ভাব্যতা যাচাই পর্যায়ে রয়েছে।