বরিশাল নগর বিএনপির নতুন কমিটির ১০ নেতা সম্পর্কে ‘মতামত’ চেয়ে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগসাজশসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে নগর বিএনপি এমন চিঠির কথা অস্বীকার করেছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই পত্রে বরিশাল নগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে ‘মতামত’ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অ্যাডভোকেট রিজভীর পাঠানো ২ লাইনের পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সংযুক্ত পত্রটিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিষয়ে আপনাদের মতামত দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রেরণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। বিষয়টি অতীব জরুরি।’
বিএনপির ওই ১০ নেতা হলেন বরিশাল নগর বিএনপির নবগঠিত কমিটির ৩ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন সিকদার, ৬ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক কে এম শহিদুল্লাহ, ৭ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ, ৯ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মাকসুদুর রহমান, কমিটির সদস্য ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর রাশিদা বেগম, সেলিনা বেগম, জাহানারা বেগম, সদস্য আজাদ হোসেন, খসরুল আলম তপন ও সরোয়ার হোসেন।
ওই পত্রে সংযুক্ত অভিযোগগুলো হচ্ছে, বরিশাল নগর বিএনপির নতুন কমিটিতে ঠাঁই পাওয়া নেতা আলতাফ ও শহিদুল্লাহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলেছেন। বিএনপি নেতা হারুন, মাকসুদুরকে দলের কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। নারী কাউন্সিলর রাশিদা, সেলিনা, জাহানারা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আজাদ, তপন ও সরোয়ার যুবদলে পদধারী হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের কমিটিতে সদস্য রাখা হয়েছে।
আলতাফ হোসেন সিকদার জানান, এ ধরনের অভিযোগ কেন্দ্র থেকে জানতে চাওয়ার বিষয় তাঁর নলেজে আসেনি। কারও সঙ্গে হাত মেলালে যদি সেই ছবি দেখানো হয়, তাতে কী আসে যায়।
বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক জানান, ১০ নেতা সম্পর্কে তাঁর কাছে কেন্দ্র কোনো ‘মতামত’ চায়নি। আহ্বায়ক হিসেবে তাঁর বিষয়টি জানা নেই।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, এটা মহানগরের নেতারাই জানেন, তিনি বলতে পারবেন না। তাঁকে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, ‘নগর বিএনপির সঙ্গেই কথা বলেন।’