হোম > ছাপা সংস্করণ

শুভ নববর্ষ

সম্পাদকীয়

খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের প্রথম দিন আজ। নতুন পরিকল্পনায় সাজিয়ে বছরটিকে রঙিন করার ভাবনায় আকীর্ণ হোক মানব মন। প্রতিবছরই উল্লেখ করার মতো অনেক ঘটনা ঘটে থাকে, ২০২২ সালও তার ব্যতিক্রম নয়। যদিও কালপ্রবাহ বছর হিসাব করে চলে না, সে তার নিজের মতোই বয়ে চলে, তবু আমরা খণ্ডিতভাবে বছরওয়ারি ঘটনাগুলোকে সাজাই, তা নিয়ে কথা বলি।

২০২২ সালে উল্লেখ করার মতো ঘটনাগুলোর মধ্যে সাফল্যের উদাহরণ হিসেবে পদ্মা সেতু এবং রাজধানীতে মেট্রোরেলের যাত্রার কথা বলতে হয় সবার আগে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে পদ্মা সেতু একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। ঢাকা মহানগরীর যানজট থেকে মুক্তির একটি পথসন্ধান খোঁজা যাবে মেট্রোরেলের মাধ্যমে। তবে মেট্রোরেল সাশ্রয়ী হলো কি না, সেটা

নিয়ে আরও ভাবতে হবে। রাজধানীবাসী কিংবা রাজধানীর অতিথির জন্য এই 
রেল যদি অন্যান্য গণপরিবহনের চেয়ে ব্যয়বহুল হয়, তাহলে এই সেবা অপেক্ষাকৃত দরিদ্র মানুষ পাবে না। এ দিকটি নিয়ে ভাবা দরকার।

দ্রব্যমূল্য নিয়ে বছরটি খুবই এলোমেলো সময় কাটিয়েছে। সিন্ডিকেট বাণিজ্য লুটে নিয়েছে গরিব মানুষের অর্থ। সিন্ডিকেটগুলোকে আইনের আওতায় আনা যায়নি। এটা একটা ব্যর্থতা। এ বছরটিতে যেন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা অস্থিরতা পাকানোর চেষ্টা করলে তাদের পাকড়াও করা হয়। জনগণ সেটা চায়, সরকার এবং তার প্রশাসন সেটা বুঝতে পারলে ভালো।

বিগত বছর রাজনীতিকে উষ্ণ করেছে। আগের কয়েকটি বছর রাজনীতির মাঠ কিছুটা নিষ্ক্রিয় থাকলেও গত বছর বিভিন্ন বিরোধী দল সক্রিয় হয়েছে। আগামী বছর অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অতীতের দুটি নির্বাচনের চেয়ে ভিন্ন হবে বলে ভাবা হচ্ছে। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ স্লোগানটি যেন বাস্তবে রূপান্তরিত হতে পারে, গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল মানুষের কামনা সেটাই।

করোনা ও ডেঙ্গু পরিস্থিতি যেভাবে মানুষের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছিল, তা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পেয়েছে মানুষ। নতুন করে অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনযাপন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বহু মানুষ চাকরিহারা হয়েছেন, অনেক উদ্যোক্তা তাঁদের পুঁজি হারিয়েছেন, এখন তাঁরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। এরই মধ্যে গোদের ওপর বিষফোড়ার মতো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সারা বিশ্বের অর্থনীতিকেই ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। শ্রীলঙ্কা দেখিয়ে দিয়েছে, ঋণ করে ঘি খেলে পরে পস্তাতে হয়।

এ রকম বহু ঘটনার সাক্ষী পুরোনো বছরটি। নতুন বছরে আমরা চাইব, সারা পৃথিবী যেন রাজনৈতিক সহিংসতা, অর্থনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের পথ থেকে সরে আসে।

আমাদের দেশে রাজনৈতিক আবহাওয়া যেন গণতন্ত্রের অনুকূল হয়। মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রামে যেন সুবাতাস বয়। দেশের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি যেন মানুষের জীবনকে বর্ণময় করে তোলে। সুশাসনের বিকল্প নেই—এ কথা যেন আমাদের সরকার, বিরোধী দল এবং সংশ্লিষ্ট সবাই মনে রাখে। বিভিন্নভাবে গজিয়ে ওঠা পেশিশক্তির প্রতিভূদের দমন করার কাজটি যেন শুরু হয়। প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে চলতে পারে, সে নিশ্চয়তা যেন থাকে।

আমরা আমাদের পাঠক, শুভানুধ্যায়ী, বিজ্ঞাপনদাতাসহ দেশবাসীকে খ্রিষ্টীয় নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। নতুন বছরে সবার জীবনে স্থিরতা আসুক—এই আমাদের কামনা।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ