সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় লোডশেডিংয়ে নাকাল এলাকাবাসী। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টাই থাকে না বিদ্যুৎ। কখনো কখনো টানা দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ সেবাও পান না গ্রাহকেরা। এ ছাড়া বিদ্যুৎ লাইন ও ট্রান্সফরমারে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সমাধানে চলে গড়িমসি। বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগ কেন্দ্রে যোগাযোগ করলে দ্রুতই সাড়া পাওয়া যায় না। ফলে দোয়ারাবাজারবাসীকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
পল্লি বিদ্যুতের গ্রাহকেরা বলছেন, বিদ্যুৎ সংযোগের প্রথম দিকে ভালো সেবা পেতেন গ্রাহকেরা। তবে দিন যত গড়িয়েছে সেবার মান ততই হয়েছে নিম্নমুখী। ফলে পল্লি বিদ্যুতের সেবা নিয়ে অসন্তুষ্ট গ্রাহক।
উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের চাইরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সোহেল মিয়া বলেন, ‘বিদ্যুৎ সংযোগের শুরু দিকে ভালো সেবা পাওয়া যেত। তবে সম্প্রতি সেবার মান খুব বাজে। কয়েক দিন ধরে বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার মধ্যে রয়েছে। এক নাগাড়ে এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যাচ্ছে না।’
বাংলাবাজারের ব্যবসায়ী আবু বকর বলেন, ‘দিনের বেশির ভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না। ব্যবসার কাজ প্রতিনিয়ত ব্যাহত হচ্ছে। আমরা দ্রুত এই সমস্যার নিরসন চাই।’
একই অভিযোগ করেছেন দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও পল্লি বিদ্যুতের গ্রাহক। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে আমাদের ভোগান্তির পোহাতে হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে পল্লি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
তবে পল্লি বিদ্যুতের এই সমস্যা স্বীকার করছে কর্তৃপক্ষ। তবে ঘনঘন লোডশেডিংয়ের জন্য নাজুক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন সুনামগঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির জিএম সুদীপ কুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘ভৌগোলিক কারণে কিছু সমস্যা হয়ে থাকে। এ ছাড়া এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক। ফলে রাতে কোনো এলাকা থেকে অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ওই এলাকায় যাওয়া অসম্ভব হয় না। ফলে সেবা দিতে বিলম্ব হয়। আর বিদ্যুৎ লাইনে বাঁশ, গাছ পড়ে প্রায়ই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এই সমস্যার দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’