‘জওয়ান’ সিনেমা দিয়ে দর্শকদের অফুরন্ত ভালোবাসা পাচ্ছেন শাহরুখ খান। একই সঙ্গে পাচ্ছেন প্রাণনাশের হুমকিও। জওয়ানে মরচে ধরা সিস্টেমের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন শাহরুখ। কৃষকের আত্মহত্যা, সরকারি দুর্নীতি, অস্ত্র কেলেঙ্কারির মতো অনেক বিষয়কে তুলে আনা হয়েছে এই সিনেমায়। সাধারণ দর্শকদের পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলেও এ নিয়ে তাই শোরগোল পড়ে গেছে। অনেকের চক্ষুশূল হয়েছেন শাহরুখ। পরপর পাচ্ছেন হুমকি। সেই কারণে মহারাষ্ট্র সরকার আর ঝুঁকি নিতে চায়নি। ৫ অক্টোবর মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসনের কাছে নির্দেশ গিয়েছিল বলিউড বাদশার নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য। এখন থেকে ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হবে কিং খানকে।
কী আছে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তায়
- ছয়জন সশস্ত্র পুলিশ কমান্ডো সব সময় থাকবেন শাহরুখের সঙ্গে। এই ছয়জনকে মহারাষ্ট্র পুলিশের ‘স্পেশাল প্রটেকশন ইউনিট’ থেকে নির্বাচন করা হবে।
- এই পুলিশ কমান্ডোদের সঙ্গে থাকবে একে-৪৭ আগ্নেয়াস্ত্র, গ্লক পিস্তল এবং এমপি-৫ সাবমেশিন গান।
- শাহরুখের বাংলো মান্নাতের সামনে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে ৪ জন করে পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।
- ভারতজুড়ে শাহরুখের গাড়ির জন্য থাকবে বিশেষ ট্র্যাফিক ক্লিয়ারেন্স।
কীভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হয়
- কোনো তারকা বাড়তি নিরাপত্তার প্রয়োজন মনে করলে তিনি ডিস্ট্রিক্ট পুলিশ বরাবর আবেদন করেন। এরপর বিষয়টি মূল্যায়ন করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
- গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া মূল্যায়নের ভিত্তিতে ভারতের রাজ্য সরকার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই নিরাপত্তা দেয়।
- ভারতে সাধারণত ৫টি ক্যাটাগরিতে নিরাপত্তা দেওয়া হয়—এক্স, ওয়াই, ওয়াই প্লাস, জেড এবং জেড প্লাস। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট ও ব্যক্তিগত আবেদনের ভিত্তিতে নিরাপত্তার স্তর ঠিক করা হয়। এ ছাড়া হুমকির আভাস পেলে এবং জনসমাগমস্থলে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই নিরাপত্তা দেওয়া হয়।
নিরাপত্তার চাদরে আরও যাঁরা