সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের স্কুলছাত্রী সাচিতা হোসেন সেঁজুতি হত্যার এক সপ্তাহেও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি হত্যার কোনো রহস্যও উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়নি। এতে নিহতের স্বজন, সহপাঠী ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় শিগগিরই এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে হত্যাকারীদের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সেঁজুতির বাবা সোহরাব হোসেন পলাশ বলেন, ‘আমার মেয়ে কলারোয়া পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। প্রতিবেশী আলতাফ হোসেনের ছেলে কলারোয়া সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের (এইচএসসি) ছাত্র আব্দুর রহমানের সঙ্গে বছরখানেক আগে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল সে। চলতি বছরের ২৭ মার্চ দুপুরে স্কুলে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সে বাড়ি থেকে বের হয়। পর দিন গ্রামের একটি কুলবাগান সংলগ্ন ধান খেতের ড্রেনে দুই হাত বাঁধা অবস্থায় পুলিশ আমার মেয়ের লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, শ্বাসরোধ করে আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের এক সপ্তাহ পার হলেও হত্যার কোনো রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারা ও জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে না পারাটা একই সঙ্গে আশ্চর্যজনক ও হতাশার। আমি এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে আসামিদের গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সোহরাব হোসেন জানান, ‘হত্যাকাণ্ডের কারণ ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। নিহতের বাবাসহ বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে জড়িতদের যে কোনো সময় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’