খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা সদর থেকে ১৩ কিলোমিটার উত্তরে বাবুছড়া বাজার। সপ্তাহের রোববার হাট বসে এই বাজারে। এই দিন তিন শতাধিক দোকান বসে বাবুছড়া বাজারের অলিগলিতে। এই বাজারের অধিকাংশ মানুষ আসে পাহাড়ের দুর্গম এলাকা থেকে। প্রতি সপ্তাহে হাটের আগের দিন থেকে বাবুছড়া বাজারের চারপাশে অবস্থান করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বাজারে নেই কোনো শৌচাগার। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীসহ বাজারে আসা ক্রেতাদের।
বাবুছড়া বাজারে আসা নাড়াইছড়ির রানীবালা চাকমা (৫০) নামের একজন বলেন, ‘সড়কপথে আসার সুযোগ না থাকায় হাটের আগের দিন বাজারের পাশে মানুষের বাসায় থাকি। সকালে বাজার করে আবার ফিরে যাই। বাজারের উন্নয়ন তেমন চোখে পড়ে না। বাজারে কোনো শৌচাগার নেই। পানির ব্যবস্থাও নেই। যার কারণে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সবাইকে।’
একই কথা বলেন লক্ষ্মীছড়ির সুশীল চাকমা (৩৮)। এ ছাড়া ধনপাতাছড়া, বেলতলী, জারুলছড়ি, বাঁশডালা, চিনালছড়ির লোকজন সদাই করতে আসেন বাবুছড়া বাজারে।
বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য মতে, ৫০টি গ্রামের অন্তত ২১ হাজার মানুষের নিত্যপণ্য কেনাকাটা হয়ে থাকে বাবুছড়া বাজার ঘিরে। এত লোকের সমাগম থাকলেও বাজারের উন্নতি হয়নি যথোপযুক্ত। নেই পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা, আছে খাওয়ার পানির সংকট, বাজারে নেই কোনো গণশৌচাগার।
বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, বাবুছড়া বাজারটির কোনো উন্নয়ন হয়নি। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাজারটির উন্নয়ন হওয়া দরকার ছিল। বাবুছড়ায় হাটের দিন এত লোকের সমাগম হয় অথচ বাজারে নেই পানির ব্যবস্থা, নেই শৌচাগার। ফাঁকা প্লটের জায়গায় মানুষ মলমূত্র বিসর্জন করেন। আর এসবের কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।