উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশ মাদক সমস্যার কবলে পড়েছে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
গতকাল রোববার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন দাবি করে বলেন, প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অবৈধ মাদক প্রবেশ করে। ইয়াবা আসে মিয়ানমার থেকে আর গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও ইনজেক্টিং ড্রাগ ভারত থেকে অনুপ্রবেশ করে।
মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ২৩ হাজার ৮০০টি মামলা করে ৩১ হাজার ৫৪৫ জন মাদক চোরাকারবারিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এসব মামলায় ১ কোটি ৫৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯৩৮ পিস ইয়াবা, ১১৬ দশমিক ১৮৭ কেজি হেরোইন, ২০ হাজার ৭৪২ কেজি গাঁজা, ৮১ হাজার ৪৮৪ বোতল ফেনসিডিল, ১৯ হাজার ২৪৮ অ্যাম্পুল ইনজেক্টিং ড্রাগ এবং ৫৭ হাজার ৯৭১ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, দেশের ৬ষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা আগামী ২৪-৩০ ডিসেম্বর ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।
নোয়াখালী-২ আসনের মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, সর্বশেষ তাঁতশুমারি (২০১৮) অনুযায়ী বর্তমানে তাঁতশিল্পের সংখ্যা ১ লাখ ১৬ হাজার ১১৭টি। তাঁতির সংখ্যা ৩ লাখ ১৬ হাজার ৩১৫ জন।