চতুর্থ ধাপে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোট অনুষ্ঠিত হয়। পশ্চিম আকাশে সূর্য যখন প্রায় হেলে পড়ছিল ঘড়ির কাটায় তখন ভোট শেষ হতে মাত্র ৫ মিনিট বাকি। এমন সময় দৌড়ে হাঁপাতে হাঁপাতে নাগরী ইউপির পানজোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ নম্বর মহিলা ভোটকেন্দ্রে ছুটে আসেন স্বপ্না আক্তার (২০)। এসেই চুপচাপ লাইনে দাঁড়িয়ে যান।
কথা হয় স্বপ্নার সঙ্গে। স্বপ্না জানালেন এটা তাঁর জীবনের প্রথম ভোট। আর এই ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত শনিবার সারা রাত ঘুমাননি তিনি। কীভাবে ভোট দেবেন? কোথায় ভোট দেবেন? ভোটকেন্দ্র কেমন হবে? কোনো উচ্ছৃঙ্খল পরিবেশ থাকবে কি না, এমন হাজারো প্রশ্ন তাঁর মাথায় ঘুরপাক খেয়েছে সারা রাত।
ঢাকার একটি প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিবিএ ফাইনাল বর্ষের শিক্ষার্থী স্বপ্না। তিনি নাগরী ইউনিয়নের পানজোরা গ্রামের বাসিন্দা। ভোটকেন্দ্রে এত দেরিতে কেন? এমন এক প্রশ্নে জবাবে স্বপ্না জানালেন, তিনি দুপুরে ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছেন। কিন্তু রাস্তায় জ্যামের কারণে কেন্দ্রে আসতে দেরি হয়েছে। বেলা শেষে হলেও প্রথমবারের মতো ভোট দিতে পারছেন, তাই তিনি খুবই উৎফুল্ল। ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ দেখে তিনি খুবই খুশি।
স্বপ্নার মতো মিতু আক্তারও (১৯) লাইনে দাঁড়িয়ে প্রথমবারের মতো ভোট দিচ্ছেন। তিনি স্থানীয় একটি কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন। বাড়ি নাগরী ইউনিয়নের পানজোরা গ্রামে।
জানা গেছে, ইউপিতে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই ইউপির ভোটার তালিকা অনুযায়ী মোট ভোটার সংখ্যা ৩০ হাজার ৬৯৭ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ হাজার ৫২৬ জন এবং মহিলা ভোটার ১৫ হাজার ১৭১ জন।