হোম > ছাপা সংস্করণ

অহেতুক কথা-কাজ পরিত্যাজ্য

আবদুল আযীয কাসেমি

জীবনবাস্তবতায় প্রতিনিয়ত আমরা বিভিন্ন অনর্থক কথা ও কাজে জড়াই। যা একান্তই নিরর্থক—ইহকাল-পরকালে এর কোনো কল্যাণ নেই। এমন অর্থহীন কথা ও কাজ থেকে যাঁরা বিরত থাকতে পারেন, তাঁরাই পৃথিবীতে মানবকল্যাণে প্রভূত অবদান রাখতে সক্ষম। অর্থহীন কথা ও কাজ কেবল অকল্যাণই বয়ে আনে। ক্ষতি ও বিপদই বাড়ায়। অনেক মূল্যবান প্রতিভা ধ্বংস হয়ে গেছে নিরর্থক বিষয়ে মগ্ন হয়ে।

এ বিষয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) অত্যন্ত মূল্যবান একটি উপদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মানুষের ইসলামচর্চার অন্যতম সৌন্দর্য হলো অহেতুক কথা ও কাজ পরিত্যাগ করা।’ (তিরমিজি) এই একটি উপদেশ যদি আমরা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে আমাদের সমাজের চিত্র ভিন্ন রকম হবে। একটু গভীরভাবে লক্ষ করলেই আমরা বুঝতে পারি, অহেতুক কথা ও কাজে সাধারণত অপরাধের মাত্রাই দ্বিগুণ হয়। অর্থহীন কথাবার্তায় থাকে সাধারণত পরনিন্দা, অপবাদ, কারও অন্যায় সমালোচনা বা অপর ভাইয়ের সম্মানহানি ইত্যাদি। এ সবকিছু ইসলামের দৃষ্টিতে গর্হিত অপরাধ।

আমাদের প্রিয় নবী (সা.) প্রায় সময়ই নীরব থাকতেন। আখেরাতের বিষয়ে ভাবতেন। নীরবতা অবলম্বনের ব্যাপারে অন্যদের উৎসাহিত করতেন। তিনি বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও কিয়ামত দিবসে বিশ্বাস রাখে তারা যেন ভালো কথা বলে কিংবা চুপ থাকে।’ (বুখারি)

বাস্তবতার দিকে তাকালে দেখা যায়, চুপ থাকতে অভ্যস্ত ব্যক্তি বহু অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদাপদ থেকে বেঁচে যায়। পক্ষান্তরে, বাচাল ব্যক্তি মানুষের কাছে ঘৃণ্য হওয়ার পাশাপাশি নিজের জন্য ডেকে আনে সমূহ বিপদ। বাচালতা একটি ব্যক্তিত্ববিনাশী বদভ্যাস। এটি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে নানা ঝুটঝামেলা সৃষ্টি করে।

লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ