পবিত্র রমজানে ইফতার উপলক্ষে ফার্মগেটের রেস্টুরেন্টগুলোতেও রয়েছে বাড়তি আয়োজন। বেলা গড়াতে না-গড়াতেই রেস্টুরেন্টগুলো থেকে বেরোতে থাকে সুঘ্রাণ। শেষ বিকেলে তা আরও গাঢ় হয়ে ওঠে। ক্রেতাদেরও ভিড় বাড়ে বিকেলে। বিক্রি হয় খাসি ও চিকেনের গ্রিল চাপ, লেগ কাবাব, লেগ রোস্ট, হালিমসহ নানা পদের খাবার।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ফার্মগেটের হোটেল নিউ স্টার অ্যান্ড কাবাবের সামনে ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতারা কিনছেন পছন্দের ইফতারসামগ্রী। অফিসফেরত অনেকেই ইফতারি কিনে ফিরছেন বাসায়। তেমনই একজন সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘অফিস থেকে ফিরতে দেরি হয়ে যায়। বাড়ি ফেরার পথে তাই এখান থেকে টুকটাক ইফতার কিনে নিয়ে যাই।’ এরপর রিকশা পেয়ে ইফতারের আগেই বাসায় পৌঁছানোর জন্য রওনা দেন তিনি।
হোটেল নিউ স্টার অ্যান্ড কাবাবের ম্যানেজার হাবিবুর রহমান বলেন, তাঁদের ইফতার আইটেমের মধ্যে খাসি ও চিকেনের গ্রিল চাপ, লেগ কাবাব, লেগ রোস্ট, হালিমসহ অন্যান্য পদও রয়েছে। তবে গরম বেশি হওয়ায় লাচ্ছি ও লাবাং বেশি বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবারে ইফতারসামগ্রী বাইরে না রেখে দোকানের ভেতরে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ফার্মগেট রেস্টুরেন্টের বাইরে দেখা যায়, ইফতারের নানা পদে ভরপুর টেবিল। বিক্রেতা সবুজ ইসলাম বলেন, ‘সব শ্রেণির মানুষই যেন কিনতে পারে, সে কারণে ৫ টাকার পেয়াজি থেকে শুরু করে ৮০০ টাকার মাটন হালিম পর্যন্ত আছে আমাদের এখানে।’
আশপাশে ছোট ছোট পানীয়র দোকানও দেখা যায় এই এলাকায়। সেখানে বিভিন্ন ফলমূলের জুস ও ফালুদা ক্রেতাদের নজর কাড়ছে। জুস বিক্রেতার কাছে জানা গেল, তাঁর কাছে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে তরমুজের জুস ও লেবুর শরবত।
এ ছাড়া নগরীর ব্যস্ততম স্থান কারওয়ান বাজার ইফতারের আগমুহূর্তে আরও ব্যস্ত হয়ে ওঠে। তবে কারওয়ান বাজারের প্রস্তুতি খুবই তাৎক্ষণিক। সেখানে ছয়-সাতজন মানুষ একটি বড় পাত্রে ইফতারি মেখে একসঙ্গে ইফতার করেন।
গতকাল এমনই একটি দলে ইফতারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সুমন। পেশায় তিনি ট্রাকচালকের সাহায্যকারী। সুমন বলেন, ‘এখানে সবার সঙ্গে ইফতার করতে ভালোই লাগে। বাড়িতে তো সবার সঙ্গে বইসা ইফতার করা হয় না। এইখানে পরিবারের মতোন হইয়া গেছি। সবাই রোজা রাহে না, তয় সবাই এ লগে ইফতার করি আমরা।’