রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স মাত্র একটি। সেটিও ১০ দিন ধরে বিকল থাকায় রোগীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বিত্তশালী রোগীরা বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করতে পারলেও বিপাকে পড়েছেন নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির রোগীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, চারঘাটের প্রায় আড়াই লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র আশ্রয়স্থল এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। রোগীদের আনা-নেওয়ার জন্য রয়েছে পুরোনো একটি অ্যাম্বুলেন্স। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম চারঘাটের সাধারণ মানুষের কথা ভেবে আধুনিক মানের একটি অ্যাম্বুলেন্স চারঘাটবাসীকে উপহার দেন। কিন্তু বর্তমানে দুটি অ্যাম্বুলেন্সই বিকল।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অবস্থা বেশি সংকটাপন্ন হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। তখন রোগীর জন্য বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স বা গাড়ি ভাড়া করতে হয় আত্মীয়স্বজনদের। এ সুযোগে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ও গাড়িচালকেরা আদায় করেন বাড়তি ভাড়া। অনেক সময় জরুরি প্রয়োজনেও মেলে না গাড়ি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৭ মার্চ একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এর পর থেকে এটি গ্যারেজে পড়ে আছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। এতে প্রতিনিয়ত রোগীদের নিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন স্বজনেরা।
চারঘাটের স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর বাবা স্ট্রোক করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজশাহীতে নিয়ে যেতে বলা হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সটি নষ্ট থাকায় গভীর রাতে গাড়ি জোগাড় করতে পারেননি তিনি। প্রায় চার ঘণ্টা পর সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তাঁর বাবাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মোস্তাফিজুর রহমানের মতো এ রকম অনেকেই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম রবিম জানান, অ্যাম্বুলেন্সটির ইঞ্জিনের কাজ করাতে হবে। মেরামতের জন্য সিভিল সার্জনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুতই ইঞ্জিন মেরামত করে অ্যাম্বুলেন্সটি চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে।