বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ায় বরগুনার ২০টি এলাকায় শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এতে প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দা দুর্ভোগে পড়েছেন। পাউবো বরগুনা কার্যালয়ের পানি পরিমাপক মো. মাহতাব উদ্দিন জানান, ১৬ জুলাই বিষখালি, পায়রা ও বলেশ্বর নদের পানি বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউপির চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চু জানান, গ্রামগুলোর অধিকাংশ গভীর নলকূপ পানির নিচে তলিয়ে আছে। মানুষজন বিশুদ্ধ খাবার পানি সংগ্রহের জন্য অনেকদূর ছুটছে।
তালতলীর সোনাকাটা ইউনিয়নের তেতুঁলবাড়িয়া গ্রামের খাদিজা বেগম (৬০) বলেন, ‘মোরা রাইন্দা যে খামু হেইয়ার মত কোনো কায়দা নাই। গত চাইরদিন ধইর্যা এ বাড়ি ও বাড়ির মাইনসে দুগ্গা খাওন দেয় হেইয়া মোরা ভাগজোগ কইর্যা খাই। টিউবওয়েলগুলোয় সাগরের পানি ঢুইক্কা সব নুন অইয়া গ্যাছে।’
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সাদিক তানভীর জানান, এখন পর্যন্ত ১০৭টি পরিবারের জন্য শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে।
বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘পানি কমে গেলেই তেতুলবাড়িয়া গ্রামের বাঁধ দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, প্লাবিত এলাকায় শুকনা খাবার ও সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে।